পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’র

SHARE
পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’র
 

ঢাকা: ‘আ মুন্দ ভিভো’ বা নতুন বিশ্ব উপহার দেওয়ার স্লোগান নিয়ে পর্দা উঠলো অলিম্পিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বাংলাদেশের স্থানীয় সময় শনিবার ভোর (০৬ আগস্ট) ৫টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।

জিকা আতঙ্ক, অর্থনৈতিক মন্দা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে রিও ডি জেনিরোতে শুরু হলো রিও অলিম্পিক।

ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রাজিল। জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দেখতে প্রায় ৭৮ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে। আর টিভিতে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের চোখ ছিল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে পতাকা হাতে দেশসেরা অ্যাথলেটদের মার্চপাস্ট চোখে পড়ে।

২০১২ সালের অলিম্পিককেও ছাড়িয়ে যাবে এবারের আসর-এমনটি আগেই ঘোষণা দিয়েছিল আয়োজক দেশটি। তারই কিছু চিত্রের দেখা মেলে উদ্বোধনীতে।

আয়োজনের বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাম্বা স্কুলের প্রায় ছয় হাজার নৃত্যশিল্পী বিশেষ পোশাকে নৃত্যের মায়াজালে মোহিত করে রাখেন দর্শকদের। ১২০ বছরের অলিম্পিক ইতিহাসে কখনোই অ্যাথলেটিক্স মাঠের বাইরে হয়নি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই প্রথম অলিম্পিকের উদ্বোধন হলো ফুটবলের স্টেডিয়াম মারাকানায়।

অলিম্পিকের ৩১তম এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে ২০৬টি দেশ। যেখানে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নেবেন। মোট ২৮টি ক্রীড়া ইভেন্টে ৩০৬টি পদকের জন্য লড়বে দেশসেরা এই অ্যাথলেটরা।

ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী সাম্বা নৃত্য তো ছিলই, ছিল বিশ্বের সব থেকে দামি সুপারমডেল ব্রাজিলের জিসেল বুন্দচেন। তার ক্যাটওয়াকের সঙ্গে বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল তৃতীয় লিঙ্গের ব্রাজিলিয়ান মডেল লি টির পরিবেশনা।

অলিম্পিকের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো তৃতীয় লিঙ্গের মডেলের উপস্থিতি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিল ভিন্নধর্মী নানা আয়োজন। আয়োজক দেশ ব্রাজিল তাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তুলে ধরে বিশ্ববাসীর কাছে। ছিল আমাজনের অরণ্য ব্রাজিলের জন্য বিশাল গৌরবের বিষয়। আমাজনকে ফুটিয়ে তুলতে আরও ছিল বানর, ম্যাকাউ পাখি ও বৃষ্টির শব্দ।

অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দর্শকদের মন মাতান ব্রাজিলের বিখ্যাত সব সঙ্গীত শিল্পীরা। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় ব্রাজিলের পর্তুগীজ উপনিবেশের ইতিহাস। সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশটির খ্যাতিমান শিল্পী অ্যানিত্তা, কায়েতোনো ও গিলবার্তো গিল।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক ফার্নান্দো মেয়ারলেস। তার সঙ্গে ছিলেন আন্দুচা ওয়াশিংটন এবং ড্যানিয়েলা থমাস।