যশোরে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে আরেক সন্ত্রাসী নিহত (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),যশোর প্রতিনিধি,মঙ্গলবার   ১৮ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩১ : 

যশোরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন ওরফে ট্যাটু সুমনের গুলিতে আরেক সন্ত্রাসী মীর সাদী আহমেদ (৩২) নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে যশোর শহরের রেলগেট পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিহত মীর সাদী আহমেদ শহরের রেলগেট এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে। ঘাতক ট্যাটু সুমন এবং নিহত সাদী আহমেদ দু’জনই যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেলের ক্যাডার।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে বাড়ির যাচ্ছিলেন সাদী। বাড়ির সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ট্যাটু সুমন ও মেহেদী। বাসার সামনে পৌঁছাতেই সুমন ও মেহেদী সাদীকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সাদীর বাইকে থাকা রাকিব ট্যাটু সুমনকে জড়িয়ে ধরলে তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এসময় সাদীর বুকে ও গলায় গুলি বিদ্ধ হয়।

Advertisement

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করে। ঢাকাতে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে সাদীর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানান, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ত্রাস ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। তার নেতৃত্বে রেলগেট এলাকায় মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি হতো এছাড়াও হাটবাজারের ইজারার নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদী। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ম্যানসেল আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে রেলস্টেশন বাজার ও রেলগেট এলাকার চাঁদার টাকা ম্যানসেলকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় সাদী। চাঁদার টাকা না পেয়ে ম্যানসেল তার আরেক সহযোগীদের দিয়ে সাদীকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

Advertisement

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত সাদী সন্ত্রাসী ও যাদের নাম আসছে তারাও সন্ত্রাসী। সকলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।’

নিহত সন্ত্রাসী মীর সাদী আহমেদ। ফাইল ছবি