ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়া প্রতিনিধি,শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ || ফাল্গুন ২২ ১৪৩১ :
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে; হয়েছে প্রতিবাদ। ঘটনাকে ঘিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যে মানুষের ক্ষোভ, সমালোচনা আরও বেড়েছে।
Advertisement
প্রশ্ন উঠেছে মেয়েদের ধূমপান করা কি বেআইনি? এমন আলোচনার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মন্তব্য ছিল, “ওপেন (উন্মুক্ত) জায়গায় সিগারেট খাওয়া নারী-পুরুষ সবার জন্য নিষেধ”।
এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা মব অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন কি না-এই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এই ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারী আজ সোমবার ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেছেন এবং সেই বিক্ষোভে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
https://youtu.be/2PWu06FzJYk?si=R255WK28kW6fsAb6
(প্রকাশ্যে সিগারেট খাওয়া সেই তরুনীর ভয়ংকর স্বড়যন্ত্র)
এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমেও।
লালামাটিয়ায় দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে ‘মব অপরাধ’ উল্লেখ করে জড়িতদের শাস্তির দাবিও উঠেছে।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, ওপেন জায়গা বা পাবলিক স্পেস হলো সেই জায়গা যেখানে কেউ ধূমপান করলে অন্যের সমস্যা হতে পারে বা কেউ প্রলুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু মাঠের কোনায় চায়ের দোকান কোনো পাবলিক স্পেস হতে পারে না।
তবে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. ইবনে মিজান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। কারণ উভয় পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়েছে এবং কোনো পক্ষই আর কোনো অভিযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী পাবলিক স্পেসে ধূমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর মাধ্যমে গণপরিবহন, বড় বড় শপিংমল এবং সরকারি অফিস আদালতে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ হয়েছে।
কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশেই ফুটপাত কিংবা অলিগলির সড়ক ঘেঁষে যেসব অস্থায়ী দোকানপাট অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে, সেগুলোতে চা-সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হয়। সাধারণত এগুলো ‘টং দোকান’ হিসেবে পরিচিত।
Advertisement
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও এসব জায়গাকে কখনো পাবলিক স্পেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।
মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা