ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),স্বাস্থ্য প্রতিনিধি,বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ || ফাল্গুন ২০ ১৪৩১ :
ওজন কমানোর একটি সাধারণ উপায় হচ্ছে আপনি প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন তার থেকে ৫০০ ক্যালোরি করে কম খেতে হবে। তাহলে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে। রোজার মাসে আমরা দিনের বেলাতে না খেয়ে থাকি। তবুও অনেক সময় দেখা যায়, সারা মাস রোজা রাখার পরও কারো ওজন কমে না এবং অনেকের ওজন আরও বেড়ে যায়। কোন কোন ভুলের কারণে রোজায় আমাদের ওজন না- এ বিষয়ে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাব্বির আহমেদ, পোস্ট ডক্টরাল সাইনটিস্ট। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
Advertisement
১) ১০০ গ্রাম আলু যদি আপনি তেল ছাড়া রান্না করেন তাহলে এর মধ্যে ক্যালোরি পাবেন ৯৩ ক্যালরি। এখন এই পরিমাণ আলু যদি আপনি তেলে ভাজেন তাহলে এর ক্যালরি গিয়ে দাঁড়ায় ৩১২ ক্যালরি। শুধুমাত্র তেলে ভাজার কারণে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে তিনগুণ। এই ব্যাপারটা আসলে কেন ঘটে? কারণ তেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। মাত্র ২৫০ মিলি রান্না করার তেলের মধ্যে ২০০০ ক্যালরি থাকে। এখন চারজনের একটা পরিবারের ইফতারের ভাজাপোড়া তৈরি করার জন্য যদি ২৫০ গ্রাম তেল লাগে, তাহলে শুধুমাত্র জনপ্রতি ৫০০ ক্যালোরি করে অতিরিক্ত খাচ্ছেন তেলের কারণে। এখন ওজন কমানোর জন্য যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি করে কম খেতে হবে সেখানে তেলের কারণে আপনি আরো ৫০০ ক্যালোরি করে বেশি খাচ্ছেন। তাহলে আপনার ওজন কীভাবে কমবে?
যারা এসব ভাজাপোড়া রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে এনে খান তাদের জন্য একটা অতিরিক্ত দুঃসংবাদ। রেস্টুরেন্টে যখন এগুলো বানানো হয় তখন একই তেলের মধ্যে কয়েক রাউন্ড ভাজা হয়। এর ফলে যেই তেল দিয়ে ভাজা হচ্ছে সেই তেল অনেক সময় ধরে অনেক উচ্চমাত্রায় ফুটতে থাকে। যার ফলে তেলের মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড ট্রান্সপারেট হয়ে যায়। যার ফলে ট্রান্সফ্যাট এসিড তৈরি হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রান্সফ্যাট মানুষকে মোটা করার জন্য সরাসরি দায়ী। এখন অনেকেই ভাবতে পারেন তাহলে যারা চিকন আছে তারা তো খুব সহজে ট্রান্সফ্যাট খেয়ে মোটা হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ট্রান্সফ্যাট শুধু মানুষকে মোটা করে না এটা মানুষের শরীরে কিছু ভয়াবহ ক্ষতি করে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে, এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যার জন্য হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় দেড় গুণ। অর্থাৎ ভাজাপোড়া খেলে তো আপনার ওজন কমবে না আরও বিভিন্ন রোগবালায় এর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
২) ইফতারে মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যেমন জিলাপি, মিষ্টি, বুরিন্দা ইত্যাদি। অথবা মিষ্টি জাতীয় ড্রিংকস যেমন কোক, সেভেন আপ, ফান্টা, স্প্রাইট অথবা অন্য ড্রিংকস। প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি খাবার যেমন মিষ্টি আম বা মিষ্টি ডাবের পানি এগুলো বাদে মানুষের হাতে তৈরি মিষ্টি খাবার খাবার আমাদের জন্য ক্ষতিকর।
আপনি যদি মিষ্টি খাবার কিংবা মিষ্টি পানীয়ও পান করেন তাহলে আপনার শরীরে দুইটা ঘটনা ঘটে। মিষ্টি খাবারগুলো আপনার পেট ভরাবে কিন্তু আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি পৌঁছে দেবে। আবার আমরা যখন মিষ্টি খাবার খাই বা মিষ্টি পানীয় পান করি তখন আমাদের রক্তে একসঙ্গে অনেকখানি সুগার চলে আসে। রক্তে তো আর এত সুগার একসঙ্গে রাখা যাবে না। এটা অন্যান্য অর্গানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যার জন্য শরীর একটা ব্যবস্থা নেয়। এর ফলে শরীর প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন পাঠায় রক্তে। ইনসুলিন গিয়ে এই সুগারগুলোকে মাসেলের মধ্যে ভরতে শুরু করে। যেন রক্ত থেকে কমে যায় এবং একটা নরমাল কন্ডিশনে আসে। এটাই হচ্ছে মজার ব্যাপার, একসঙ্গে ইনসুলিন যে এতগুলো সুগার কোষের মধ্যে দিচ্ছে। কোষেরতো একসঙ্গে এত এনার্জি দরকার নাই। তখন শরীর মনে করে এত সুগার যেহেতু একসঙ্গে আসছে এগুলোকে আমরা ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখি। তখনই সুগারগুলোকে কনভার্ট করে ফ্যাট হিসেবে শরীরের জন্য জমিয়ে রাখে অর্থাৎ চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে যেটা হচ্ছে, মিষ্টি খাওয়ার ফলে আপনি আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলছেন।
৩) অনেকেই আমরা খেয়াল করি না যে নরমাল দিনে আমরা যত বেলা খাই রোজার দিনে আমরা ততবেলা খাই। নরমাল দিনে আমরা সকাল, দুপুর, রাতে খাই, রোজার দিনে আমরা ইফতার, সেহেরি আবার রাতে খাই। অনেক সময় দেখা যায় যে নরমাল দিনে অনেকে ব্রেকফাস্ট মিস করেন আবার রোজার দিনে অনেক রাতের খাবারটা মিস করেন। সে হিসেবে রোজার দিনে কিন্তু নরমাল দিন থেকে কম খাওয়া হচ্ছে না।
আমরা যেহেতু রোজা থাকি এবং প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে ইফতারে আমরা এত পরিমাণ খাই যেটা আমরা নরমালি এক বেলাতে অত খেতাম না। আবার সেহরি খাওয়ার সময় দেখা যায় যে পরের দিন সকাল বেলা যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহেরিতে এরকম মনে হয় যে যা খাওয়ার খেয়ে নেই সারাদিন তো আর খেতে পারব না। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে নরমাল দিনে একজন মানুষ যে খাবার খায় রোজার দিনে তার চেয়ে আরো বেশি খাবার খাচ্ছে। এখন আপনি যে ওজন কমাতে চাচ্ছেন তার জন্যে তো নরমাল দিন থেকে আরো ৫০০ ক্যালোরি করে কম খেতে হবে।
৪) অনেকে আছে সারাদিন রোজা রেখে ক্ষুধার্ত থাকে এবং ইফতার করার সময় অনেকেই খুব দ্রুত খায়। দ্রুত খাওয়া দাওয়া করলে আসলে ওই সময় কতটুকু খাওয়া হচ্ছে সেটা কন্ট্রোল থাকে না। খাওয়া শেষ হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে বুঝা যায় যে খাওয়াটা বেশি হয়ে গেছে। এর কারণ হচ্ছে আমাদের পেট ভরেছে কিনা কিংবা আমাদের পেট কতটুকু ভরেছে এই অনুভূতি যে হরমোন দেয়, তার কাজ করতে একটু সময় লাগে। পাকস্থলী থেকে ব্রেনে আমাদের এই সিগন্যাল যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। এখন আপনি যদি ২০ মিনিটের আগে গপাগপ অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে যেটা হচ্ছে আপনার পেট কতখানি ভরে গেছে সেটা আপনি টের পাবেন না।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের দ্রুত খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস তাদের ওজন বেড়ে যায়। ২৩ টা গবেষণার ফলাফল একসঙ্গে করে দেখা যায়, যারা দ্রুত খাওয়া-দাওয়া করে তাদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
৫) অনেক সময় দেখা যায়, রোজা রাখলে আমাদের একটু অলসতা কাজ করে। এই দুর্বলতা যতটা শারীরিক দুর্বলতা তার চেয়ে বেশি মানসিক দুর্বলতা। আপনি খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই রোজা রেখে শারীরিক পরিশ্রমের কাজও করে থাকে। অনেকে খেলাধুলা করে। একটা পর্যায়ে গিয়ে আমাদের রক্তের গ্লুকোজ শেষ হয়ে যায়। এরপর আমরা যে সমস্ত কাজকর্ম করি এই কাজের শক্তি কোথা থেকে আসে? শরীর তখন ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। সেইখান থেকেই শক্তি আসে। এখন আপনি যদি রোজা রেখে অলস সময় পার করেন শারীরিক পরিশ্রম না করেন তাহলে তো আপনার শরীরের শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে না। যেহেতু আপনার শরীরের শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে না সেহেতু আপনার ফ্যাট ভাঙ্গানো প্রয়োজন হচ্ছে না। তারমানে আপনার চর্বিও কমবে না।
এখন দেখা যাক যে রোজার মাসে আসলে কীভাবে খুব সহজে ওজন কমানো সম্ভব। রোজার মাসে ওজন কমানোর জন্য আপনাকে তিনটা কাজ করতে হবে।
Advertisement
১) যত ধরনের মিষ্টি খাবার আছে অর্থাৎ যেটা খেলে মিষ্টি লাগে। বা যত ধরনের মিষ্টি জাতীয় পানীয় আছে। এইসব মিষ্টি জাতীয় খাবার বা পানীয় আপনাকে বাদ দিতে হবে। তার সঙ্গে যত ধরনের খাবার আছে যেটাতে অধিক তেল ব্যবহার করা হয় সে সমস্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
২) আপনি সারাদিনের যতটুকু খাবার খান এটার তিন ভাগের দুই ভাগ খেতে হবে। অর্থাৎ তিন ভাগের একভাগ খাবার আপনাকে কম খেতে হবে।
৩) প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে ইফতারের পর ব্যায়াম করতে হবে। এই ব্যায়ামটা হতে পারে আপনি জিমে গিয়ে করতে পারেন, সিঁড়িতে উঠা নামা করতে পারেন, দৌড়াতে পারেন অর্থাৎ এই আধা ঘন্টা আপনার শরীরকে ঝাঁকাতে হবে। এটা করতে পারলে আপনার ওজন এক মাসের মধ্যে দুই থেকে তিন কেজি কমে যাবে।
এর থেকেও যদি আপনি আরো দ্রুত কমাতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণ আরো কমিয়ে আনতে হবে। সাধারণত আপনি যতটুকু খাবার খেতেন তার অর্ধেক খাবার খাবেন। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে। আর তার সঙ্গে মিষ্টি বা তেল জাতীয় খাবার তো বাদ যেটা আগেই বলেছি। এভাবে চলতে থাকলে আপনি এক মাসের মধ্যে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।
এর থেকেও দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব কিন্তু এক মাসের মধ্যে যদি পাঁচ কেজির বেশি ওজন কমে তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আপনার ইন্টার্নাল অর্গানে সমস্যা হতে পারে।
এখন আগের চেয়ে যেহেতু আপনাকে কম খাবার খেতে হবে এই হিসাবটা আপনি কীভাবে করবেন। এই হিসাবটা আপনি সহজে করতে পারেন সেটা হচ্ছে ক্যালরি রেট হিসাব করে। কিন্তু আপনাদের মধ্যে যদি কেউ এরকম থাকে যে ক্যালরি হিসাবটা ভালোভাবে বুঝেন না তাহলে ;
আমি একটা জেনারেল হিসাব করেছি যে কতটুকু খাবার এক হাজার থেকে ১২০০ ক্যলোরির মধ্যে খাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর হয় এবং ওজন কমানোর জন্য সহায়ক হয়।
ইফতারের সময় আপনাকে পানি শূন্যতা পুরণের জন্য একটা শরবত খেতে হবে। আপনিতো লেবুর শরবত খেতে পারেন কিন্তু এখানে চিনি দেওয়া যাবে না। চিনির পরিবর্তে আপনি চার চামচের এক চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার পানি শূন্যতা পূরণ করবে এবং মধু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং এতে আপনার খরচ মাত্র ৮০ ক্যালরি। এর সঙ্গে চাইলে আপনি এক পিস খেজুর খেতে পারেন যার সঙ্গে আসবে ৩০ ক্যালোরি। এর সঙ্গে আপনি খেতে পারেন এক বাটি ফল। যে ফলগুলো খেলে মিষ্টি লাগে না। পেয়ারা, কমলা বা আমড়া হতে পারে অথবা অন্য কোন ফল হতে পারে যেসব খেলে আপনি মিষ্টি অনুভব করবেন না। আপেলও হতে পারে যেসব আপেল মিষ্টি নয়। এর ফলে আপনি আরো দেড়শ ক্যালোরি শরীরে নিলেন। এরপর আপনার টোটাল ক্যালোরির পরিমাণ হলো ২৩০ ক্যালোরি। এরপর আপনি নামাজ পড়তে চলে যাবেন এবং নামাজ পড়ে এসে আপনাকে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। আপনাকে প্রতিদিন আধা ঘন্টা থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামটা এমন করতে হবে যে আপনার শরীর যেন কন্টিনিউয়াসলি একটা ঝাঁকির মধ্যে থাকে। আপনি চাইলে সিঁড়িতে উঠা নামা করতে পারেন। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একটা কার্যকর টিপস হচ্ছে, আপনি নিজেকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবেন। যেরকম আপনার পাঁচতলা বেয়ে উঠতে যদি দশ মিনিট সময় লাগে, পরেরবার আপনি চাইবেন যেন এই পাঁচতলা বেয়ে উঠতে আপনি নয় মিনিট সময় নেন। তারপর এবার ৮ মিনিট এইভাবে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করবেন।
এরপর আপনি এশার নামাজ পড়তে যাবেন এবং ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়তে পড়তে আপনার সব খাবার ডাইজেস্ট হয়ে যাবে। এরপর থেকে সেহেরির আগ পর্যন্ত আপনার আর কোনো খাবার খাওয়া যাবে না কিন্তু আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
সেহরিতে আপনি এক কাপ ভাত খেতে পারেন তবে এই ভাতটা হবে লাল চালের ভাত। অথবা আপনি লাল আটার দুইটা রুটি খেতে পারেন। এর সঙ্গে আপনি খাবেন ১০০ গ্রাম পরিমাণ মাছ অথবা মাংস বা যে কোন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার। আর যদি মাছ-মাংসের ব্যবস্থা না হয় তাহলে আপনি একবাটি ছোলা খেতে পারেন এবং তার সঙ্গে এক বাটি সবজি খেতে পারেন। তো সব মিলে আপনার সারাদিনে শরীরে যাচ্ছে মাত্র ১২০০ ক্যালোরির মতো। কিন্তু আপনাকে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনি যদি খাবার রান্না করার সময় তেল ব্যবহার করেন তাহলে আমরা যে হিসাব করছি সেটি কিন্তু তখন থাকবে না এবং আপনার ওজনও কমবে না।
Advertisement
আর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে, আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা করে ঘুমানো উচিত। যদি আপনার ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণ না হয় তাহলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম পর্যাপ্ত হবে না। ওজন কমবে না ওজন ঠিক রাখার জন্য মেটাবলিজম ঠিক রাখাটা খুবই জরুরি।
ছবি: প্রতীকী