ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফার্ম প্রতিনিধি ,শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ১৯ ১৪৩১ :
আত্মনির্ভরশীলতার জন্য কষ্টের বিকল্প নাই, এটাই যেন প্রমাণ করেছেন নড়াইলের আকরাম মোল্যা। মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগির খামার করে পেয়েছেন সফলতা।
Advertisement
চাকরি ছেড়ে খামার করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এলাকার মানুষেরও। তাকে দেখে অনেকেই এখন আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তা হতে।
চাকরি করার ইচ্ছা আকরাম মোল্যার কোনোদিনই ছিল না। কিন্তু পরিবারের হাল ধরতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে হয় তাকে।
তবে মন বসেনি সেখানে। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে নিজের বাড়ি নড়াইলের হবখালী ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামে গড়ে তোলেন ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্ম।
শুরুতে দুই হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করেন আকরাম। কিছুদিনের মধ্যেই এক হাজার ৬০০ মুরগির বাচ্চা মারা গেলেও দমে যাননি তিনি।
Advertisement
পরে খামারে তোলেন মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগি। এতেই ঘুরে যায় তার ভাগ্যের চাকা। এখন বাচ্চাসহ চার হাজার ফাউমি মুরগি রয়েছে আকরামের খামারে। শুধু বাচ্চা বিক্রি করে মাসে আয় করছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
নিজের খামারে আকরাম মোল্যা একাত্তরকে বলেন, চট্টগ্রামে চাকরি করেছি তিন বছর। অন্যের অধীনে চাকরি করা খারাপ লাগে। তাই স্বাধীন পেশায় জড়িত হয়েছি।
এই উদ্যোক্তা বলেন, দেশের জন্য বোঝা না হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে অনেক আনন্দিত বোধ করছি।
আকরামের মত উদ্যোক্তা হতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন পরামর্শ নিতে। অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ফাউমি মুরগির বাচ্চা।
ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্মের সফলতায় বেশ আনন্দিত নড়াইলের জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সিদ্দীকুর রহমান।
তিনি বলেন, এটি মূলত একটি হ্যাচিং খামার। বাচ্চা ফুটিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এতে সফলতা পেয়েছেন।
বেকার যুবকদের চাকরির জন্য না ঘুরে আকরামের মতো উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
Advertisement
এদিকে নড়াইলে খামারের সংখ্যাও বাড়ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে হাঁস মুরগির খামার রয়েছে ৭১৮ টি। এরমধ্যে মুরগির খামার রয়েছে ৫৪৯টি।
ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্ম। ছবি : ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)