ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ১৫ ১৪৩১ :
নতুন বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব পাঠ্যবই। তবে বিনামূল্যের সব বই বিক্রি হচ্ছে নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, বই সরবরাহে দেরির সুযোগ নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দ্রুত বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো না গেলে বন্ধ হবে না অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।
Advertisement
সম্প্রতি রাজধানীর নীলক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি দোকানে মিলছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব পাঠ্যবই। আইন অনুযায়ী, এসব বই বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও দিনে দুপুরে চলছে বিক্রি।
পাঠ্যবই বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতার দাবি, অভিভাবক কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এসব বইয়ের মূল কপি সংগ্রহ করে দেন বা পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করে বিক্রি করা হচ্ছে।
হাতে গোনা দুয়েকটি বই দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রম। মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সব বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই শুধু ঢাকার নীলক্ষেত নয়, সারা দেশেই বিক্রি হচ্ছে বিনামূল্যের পাঠ্যবই। এমনকি ঢাকায় বই ছাপিয়ে তা বিক্রির জন্য সারা দেশে পাঠানোও হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ বই জব্দও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সময়মতো পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানোর কারণে সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এনসিটিবি বলছে, অসাধু প্রেস মালিকরা সঠিক সময়ে এনসিটিবিকে বই সরবরাহ না করে তা কালোবাজারে বিক্রি করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক অসাধু প্রিন্টার ও ব্যবসায়ীরা এ কাজটি করছেন। এটি বন্ধ করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।
Advertisement
এছাড়া দ্রুতই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছাতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।