ঢাকা: গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পটভূমিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই তিনি (খালেদা) এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (জুলাই ১৫) দুপুরে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রিজভী আহমেদকে। বর্তমানে অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিএনপি চেয়ারপারসনের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন জাতীয় নেতা। তিনি জাতির যে কোনো সঙ্কটময় মুহূর্তে সামনে এগিয়ে এসেছেন। গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে জাতির কঠিন সময়ে এবারও এগিয়ে এসেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের যে ভয়াবহতা সেটা জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি। এটাকে মোকাবেলা করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।এ ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে তিনি পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশের বরেণ্য কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
সকল দল, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, সে ব্যাপারে তিনি কার্যক্রম শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সেটারই প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সেখানে তারা (বিশিষ্ট ব্যক্তি ও পেশাজীবী) তাদের মতামত দিয়েছেন। সে মতামতগুলো তিনি (খালেদা জিয়া) শুনেছেন। জাতীয় ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই খালেদা জিয়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।