ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ || পৌষ ৩ ১৪৩১ :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, তা সরকারের জানা ছিল না। ওবায়দুল কাদের কোথায় ছিলেন, আমরা যদি জানতাম ধরে ফেলতাম।
Advertisement
মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন- গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিন মাস বাংলাদেশে লুকিয়ে থেকে কিভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন?
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উনি কিভাবে জানলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) তিন মাস লুকিয়ে ছিলেন। আমরা তো জানি না। আমরা যদি জানতাম ধরে ফেলতাম। ওই খবর যদি আমাদের দিতেন লুকিয়ে আছে, অবশ্যই ধরে ফেলতাম। আপনারা একটা উদাহরণ দেন যে কেউ লুকিয়ে আছে আমরা জেনেও তাকে ধরিনি। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
এ সময় সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, অনেক পুলিশ কাজে যোগ দিয়েও মামলার আসামি হওয়ার কারণে পালিয়ে গেছেন?
জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ পালিয়ে গেছে, এমন সংবাদ নেই। তারা কাজেই যোগ দেয়নি। আগের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ১৬ জন সংসদ সদস্য ছিল। সবাইকে তিনি আগে ভাগিয়ে দিয়েছেন। এখানেও এমন কিছু ঘটেছে। যেসব পুলিশ সদস্য পালিয়ে আছে, তারা অপরাধী। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে।’
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। এই সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন ওই সময়ে। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি।
সূত্রের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন।
ওবায়দুল কাদের গত ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ধান্দা করছিলেন।
Advertisement
সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।