আসাদের কারাগারে থাকা মার্কিন নাগরিক উদ্ধার

SHARE

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ট্র্যাভিস টিমারম্যান।

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৭ ১৪৩১ :

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছ থেকে এক মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্র্যাভিস টিমারম্যান নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সাত মাস আগে সিরিয়ায় প্রবেশের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

বিবিসির মার্কিন সংবাদ সহযোগী সিবিএসকে এই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাশার আল-আসাদের পতনের পর সোমবার অস্ত্রধারী দুই ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে তার কারাগারের দরজা ভেঙে দেয়। তখন তিনি মুক্তি পেয়ে সিরিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

তার কথায়, “আমার দরজা ভেঙে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম রক্ষীরা এখনও সেখানে আছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার চেয়ে আরও বড় আকারে হতে পারে। তবে বাইরে বেরিয়ে দেখি কোনো প্রতিরোধ নেই, কোথাও লড়াই হচ্ছে না। সিবিএসকে তিনি বলেছেন: “আমি ভাল আছি, আমাকে খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে।

৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি জানান, তিন সপ্তাহ আগে তার পরিবারের সাথে কথা বলেছিলেন। মুক্তির পর একটি বড় দলের সাথে কারাগার ছেড়ে জর্ডানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। মিসৌরি স্টেট হাইওয়ে প্যাট্রোলের তথ্য অনুসারে টিমারম্যান জুনের শুরুতে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে থাকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সপ্তাহান্তে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আসাদ সরকার অত্যন্ত কঠোর এই কারাগারগুলোতে অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অনুমান করেছে, আসাদ পরিচালিত কারাগারে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী বলেছে, তারা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পরিচালিত কুখ্যাত কারাগারগুলো বন্ধ করে দেবে। একইসঙ্গে বন্দীদের হত্যা বা নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে তারা।

সিরিয়ায় আসাদ সরকার পতনের পর সায়দনায়া কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন হাজার হাজার বন্দি। অধিকার গোষ্ঠীগুলো নির্যাতনের উদ্দেশে তৈরি সিরিয়ার কারাগারগুলোকে “মানব কসাইখানা” হিসাবে উল্লেখ করেছে।

বিদ্রোহী নেতা আল-জোলানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি সাবেক সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে ভেঙে দেবেন। পৃথক এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন,যারা বন্দীদের নির্যাতন বা হত্যায় অংশ নিয়েছিল তাদের ক্ষমা করার প্রশ্নই নেই। আমরা পালিয়ে যাওয়াদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোকে বলবো, যারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তাদের হস্তান্তর করুন, যাতে আমরা ন্যায়বিচার পেতে পারি।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ানরা কুখ্যাত কারাগারে ছুটে এসে তাদের প্রিয়জনকে খুঁজছেন। ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে, তুরস্ক-ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন অফ ডিটেনিস অ্যান্ড দ্য মিসিং ইন সাইদনায়া প্রিজন (এডিএমএসপি) বলেছে যে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সায়দনায়া “কার্যকরভাবে একটি মৃত্যু শিবিরে পরিণত হয়েছে”।

Advertisement