বনানী-গুলশানে ৪০ মিনি বার: মিনি স্কার্ট পরিহিত সুন্দরী যুবতীরা গ্রাহকদের মদ পরিবেশন করে (ভিডিওসহ)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানী প্রতিনিধি, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৫ ১৪৩১ :

রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান-বনানীর বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিণত হয়েছে মিনি বারে। অনুমোদন ছাড়া বেআইনিভাবে এসব হোটেল রেস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে দেদার বিক্রি হচ্ছে বিদেশী ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার। কিন্তু এসব অপরাধ দমনে যাদের এগিয়ে আসার কথা তারা একরকম নির্বিকার। শুধু মাসোয়ারা তোলার জন্য হোটেলগুলোর তালিকা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তালিকা ধরে ৪০টি হোটেল থেকে প্রতি মাসে এ চক্রের অলিখিত ঘুষের পরিমাণ অন্তত অর্ধ কোটি টাকা। আর এতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

Advertisement

জানা যায়, বনানীর ৬০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর সুইট ড্রিম হোটেলে মদের বারের অনুমোদন নেই। আইনত তারা কোনো ধরনের মদ বিক্রি করতে পারে না। অনুমোদন ছাড়া হোটেলে মদ রাখা ও বিপণন সম্পূর্ণ দণ্ডনীয় অপরাধ। অবৈধভাবে মদের বার চালানো আরও বড় অপরাধ। কিন্তু এই হোটেলের ১৫ তলায় বিশাল সুসজ্জিত বার স্থাপন করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এই বারে রাজকীয় স্টাইলে নানা ব্র্যান্ডের বিদেশী মদ ও বিয়ার সর্বক্ষণ সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতি রাতেই শত শত বিশেষ গ্রাহক এখানে মদ পান করতে আসেন। তবে এখানকার বারের আকর্ষণের পেছনে রয়েছে আরও ভিন্ন কারণ। রাজধানীতে শুধু এই বারেই মিনি স্কার্ট পরিহিত সুন্দরী যুবতীরা গ্রাহকদের মদ পরিবেশন করে থাকেন। যাদের সান্নিধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদ পান।

Advertisement

বিষয়টি সরেজমিন দেখতে ২০ নভেম্বর সুইট ড্রিম হোটেলে হাজির হয় অনুসন্ধান সেলের সদস্যরা। সঙ্গে গোপন ক্যামেরা। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্যকে সাদা পোশাকে সঙ্গে নেয়া হয়। পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচয় ছাড়া হোটেলের বারে প্রবেশ অসম্ভব। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১১টা ছুঁই ছুঁই। হোটেলের অভ্যর্থনা কর্মীরা জানতে চান, কোথায় যাবেন? তাদের হোটেলের একজন নিয়মিত গ্রাহকের নাম বলার পর লিফটে ওঠার অনুমতি পাওয়া গেল। লিফটে উঠে ১৫ তলার সুইচ চাপলেন লিফটম্যান।

Advertisement

তবে লিফটম্যান জানিয়ে দিলেন, বারের ছবি তোলা বা ভিডিও করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১৫ তলায় উঠতেই উচ্চ শব্দে গান আর নাচের শব্দ ভেসে এলো।