ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নড়াইলের লোহাগড়া, বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১ :
নড়াইলের লোহাগড়ায় দশ বছরের শিশু শাহীন ফকির হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায়ের পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় আসামিরা।
Advertisement
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো.শাজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের কালাচাঁদপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে শিমুল মল্লিক ওরফে শিমুল মুন্সি(৪৪), তার মা শামিমা বেগম(৬৯), মৃত রওশন আলীর ছেলে সৈয়দ জাহাঙ্গীর (৬৯), তার দুই ছেলে জাহিদুর রহমান মিঠু (৪৪) ও সৈয়দ লিটন(৪১)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কোর্ট চত্বর থেকে জেল হাজতে নেওয়ার সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় আসামি ও তার পক্ষের লোকজন।
Advertisement
চ্যানেল২৪, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন সময় সংবাদকে বলেন, আদালত রায় দিয়েছেন। আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করবো এটাি স্বাভাবিক। রাযের পর ক্ষিপ্ত হয়ে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আসামি সাংবাদিকের উপর হামলা করবে এটা পুলিশের উদাসীনতা ছাড়া কিছু নয়। দায়িত্ব পালনকালে আসামির স্বজনরা হামলা চালাবে! দেশে সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার সাংবাদিক কেন লাঞ্ছিত হবে? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আদালত এলাকায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নাই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় আগাবো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রামের শওকত ফকিরের দশবছরের শিশু ছেলে শাহীন নিখোঁজ হয়। শিশু শাহীন নিখোঁজের ৬ দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর হাত বিহীন গলিত মরদেহ একটি ময়লা আবর্জনা ফেলার গর্ত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে নিহতের চাচা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই বছরের ১ নভেম্বর।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত হয়। রায়ে শিমুল মল্লিক, সৈয়দ লিটন, জাহিদুর রহমান, সৈয়দ জাহাঙ্গীর ও শামীমা বেগম প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।