ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বগুড়ার দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি, রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ২ ১৪৩১ :
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহতের ছেলে নয়; ভাড়াটিয়াই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে খোয়া যাওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দুই সহযোগী সুমন চন্দ্র ও মোসলেমকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া পুলিশকে জানান, চার মাস আগে উম্মে সালমার ওই বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে উম্মে সালমা ও তার স্বামী আজিজুর রহমান ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে এক মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলছিলেন। তার কাছে দুই মাসের ভাড়াও পাওনা ছিল। বিষয়গুলো নিয়ে মাবিয়া বাড়ির গৃহকর্ত্রী উম্মে সালমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তিনি তার সহযোগী ও মাদক ব্যবসায়ী সুমন চন্দ্র সরকার এবং মোসলেমকে নিয়ে শনিবার উম্মে সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা মাফিক ঘটনার সময় মাবিয়া প্রথমে ওই বাসায় প্রবেশ করেন। পরে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন দুই সহযোগী সুমন ও মুসলিমকে। তারা দুজন বাসায় ঢুকেই চেতনানাশক স্প্রে করে উম্মে সালমাকে অচেতন করেন। এরপর তার নাক-মুখ ও হাত বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে তারা তিনজন সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, আটকের পর মাবিয়া, সুমন ও মুসলিম উম্মে সালমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়েছে। পরে তাদের দেখানো জায়গা থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং ওই বাসা থেকে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রগুলো উদ্ধার করে।
Advertisement
বিকেলে জবানবন্দির জন্য তিনজনকে বগুড়ার আদালতে নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, উম্মে সালমার হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর তার ছেলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যা ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)
