ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানীর ধানমন্ডি প্রতিনিধি,শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১ :
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদ (৮৫) নামে এক চিকিৎসককে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-৮/এ রোডের একটি পাঁচ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রবাসী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ওই ভবনে ৩ জনকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ঘটনার সময় নামাজ পড়ছিলেন আব্দুর রশিদ। নামাজরত অবস্থায় থাকার সময়েই তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু করে ছুরিকাঘাত করা হয়। ভবনে ৩ জন প্রবেশ করলেও বাসার মধ্যে দুজন গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
প্রাথমিকভাবে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হলেও এর পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে বলে জানায় পুলিশ। বাড়িটির ভাড়াটিয়া সাইদুর রহমান বাধন জানান, এ কে এম আব্দুর রশিদ ওই বাড়ির মালিক। আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী সুফিয়া রশিদ যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তারা দুজনই চিকিৎসক। গত সেপ্টেম্বরে দেশে আসেন তারা। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে হঠাৎ তাদের বাসা থেকে ডাক চিৎকারে ঘুম ভাঙে। পরে তাদের রুমে গিয়ে তিনি দেখেন, আব্দুর রশিদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর তার স্ত্রী তার মাথায় পানি ঢালছেন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাইদুর রহমান আরও জানান, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে তারা দেশে আসেন। এরপর ডিসেম্বরে আবার যুক্তরাজ্যে চলে যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারাও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। নিহত আব্দুর রশিদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। নিহতের স্ত্রী ডা. সুফিয়া রশিদ বলেন, তখন ছিল অন্ধকার। আমি ছায়ার মতো দেখি। হঠাৎ দেখি তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। এরপর সবাই দৌড়ে চলে গেল। বাসা থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি।
Advertisement
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ধানমন্ডি রোড নম্বর ৮/এ এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন চোর প্রবেশ করে। ওই সময় আব্দুর রশিদ নামাজ আদায় করছিলেন। তখন তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পেয়ে মারা যান আব্দুর রশিদ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি নাÑ সেটি জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান ওসি।