ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ৩০ ১৪৩১ :
নারায়ণগঞ্জের শিল্পপতি মো. জসিম উদ্দিন মাসুম পরকীয়া প্রেমিকা রুমার হাতে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। পরকীয়া প্রেমিকা রুমা আক্তার তার শেওড়াপাড়াস্থ ভাড়া বাসায় শিল্পপতি মাসুমকে দুধের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পরে হত্যা করে নির্মমভাবে ৭ টুকরো করে। এরপরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলে লেকের পাড় ও আশেপাশের এলাকায় পলিথিন ব্যাগে মুড়িয়ে ৭ খণ্ড লাশ ফেলে দেয়।
Advertisement
নিহত শিল্পপতি মো. জসিম উদ্দিন মাসুমের লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুলিশ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার। শিল্পপতি মাসুম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হেসকো ব্লেড, নিহতের পরনের পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সন্দেহজনকভাবে আরও ২ জনকে আটক করা হলেও তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুমা ময়মনসিংহেট গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
Advertisement
নিহতের ভাই দাইমউদ্দিন জানান, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে গুলশান থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি জিডি করেছেন নিখোঁজ মাসুমের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু। বুধবার রাতে আমরা লাশ শনাক্ত করেছি। কিন্তু কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা আমরা জানি না। এ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের চাচাতো বোন রেহানা আক্তার জানান, আমরা পুলিশের কাছ থেকে জেনেছি ভাড়াটিয়া খুনীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু কী কারণে হত্যা করেছে সেটা আমরা জানি না।
Advertisement
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে গুলশান যান জসিম উদ্দিন। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন তার বড় ছেলে। এ ছাড়া রূপগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নারায়ণগঞ্জের শিল্পপতি মো. জসিম উদ্দিন মাসুম ও পরকীয়া প্রেমিকা রুমা