ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),খুলনার ফুলতলা প্রতিনিধি, সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ২০ ১৪৩১ :
খুলনার ফুলতলা উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামের কলেজ ছাত্র নাজমুল হোসেন খান প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়িতে বসে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করেন। তার হেলিকপ্টার তৈরির নিউজ ও ভিডিও ফলাও করে প্রচারিত হয় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। এ নিয়ে ‘হেলিকপ্টারের পাখা ঘোরে, কিন্তু ওড়ে না’ এমন অনেক নেতিবাচক মন্তব্য ও ট্রল চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু তাতে দমে যাননি নাজমুল। তিনি তার তৈরি হেলিকপ্টার উড়ানোর জন্য অনুমতি চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন পাঠিয়েছেন।
Advertisement
নাজমুল জানান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হেলিকপ্টার উড়ানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে কারণে আমি রোববার ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। সংস্থাটির কেউ যদি এসে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেয় তাহলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। সংস্থাটির অনুমতি পাওয়া গেলে হেলিকপ্টারটি উড়ানো সম্ভব হবে। এখন আমি অনুমতির অপেক্ষায় আছি।
এ ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান বলেন, নাজমুলের আবেদনপত্রটি আমি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে ফরোয়ার্ড করেছি। তারা নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
নাজমুল নগরীর বিএল কলেজে বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামের মুদি দোকানদার নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। নাজমুল প্রায় ৩ বছর চেষ্টা করে এক আসনের একটি হেলিকপ্টার তৈরি করেছেন। চায়না দেড়শ’ সিসির মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন মডিফাই করে এটি তৈরি করা হয়। হেলিকপ্টারের বডি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে এসএস পাইপ। এটির দৈর্ঘ্য ২২ ফুট। প্রতিদিন হেলিকপ্টারটি দেখতে লোকজন নাজমুলের বাড়িতে ভিড় করছেন।
Advertisement
নাজমুল জানান, হেলিকপ্টারটি এক লিটার অকটেনে ১৮ থেকে ২০ মিনিট চলবে। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। এটি ২১০ কেজি ওজন নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারবে।
জামিরা বাজার আসমতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবীর বলেন, নাজমুলের তৈরি করা হেলিকপ্টার দেখেছি। সে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাতে আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে পারবে।
নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম খান বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক মেধা খাটিয়ে ও শ্রম দিয়ে নাজমুল হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছে। ওর শখ পূরণের জন্য আমি তাকে টাকা দিয়েছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে নাজমুল হেলিকপ্টারটি উড়াতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।