মাদক কারবারিদের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্রায়ই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৭ ১৪৩১ :

 

ঢাকার মানুষের প্রাণভরে শ্বাস নেয়ার জায়গাগুলোর একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। স্থানটি ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে রয়েছে মাদক কারবারিদের আখড়া। যাতে প্রায়ই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।

Advertisement

ঢাকার রেসকোর্স ময়দান তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গাটিতে গড়ে উঠেছে স্বাধীনতা যাদুঘর। এছাড়া ঠাসবুনটের শহরে মানুষের একচিলতে অবকাশও বটে। বিকেল হলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বিশেষ করে ছুটির দিনে।

কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নিরাপত্তার বালাই নেই এখানে। নির্মল পরিবেশ দূরে থাক, পরিণত হয়েছে মাদক সেবন আর কেনাবেচার আখড়ায়। ফলে এখানে প্রতিনিয়ত বিব্রত হচ্ছেন অনেকেই।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুড়তে আসা একজন জানান, উদ্যানের পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। পরিবার নিয়ে আসা যায় না। জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন মানুষ নেশা করে, জুয়া খেলে।  এর জন্য এ জায়গায় বেড়ানো যায় না।

Advertisement

এদিকে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সক্রিয় হয় মাদক কারবারি চক্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আনসার সদস্য জানান, চক্রের মূলহোতা পারুল নামের এক নারী। যার সঙ্গে অনেকসময়ই পেরে ওঠেন না আনসার সদস্যরা।

তিনি বলেন, এখানে যে পরিস্থিতি আমরা কিছু বলতে পারি না। এছাড়া আমাদের ওতটুক ক্ষমতাও নেই। আমরা চাই না এখানে আমরা হেনস্ত হই। আমাদের বলার কথা বলি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনে না।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবার ওপেন সিক্রেট হলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে পরিস্থতি আরও নাজুক। ফলে হরহামেশাই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।

৬৮ একর আয়তনের এই বিশাল উদ্যানে নেই পুলিশের নিয়মিত পাহাড়া। কালেভদ্রে টহল দেয় তারা।

Advertisement

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের নিয়িমিত টহল কার্যক্রম ফুটপেট্রোলের মাধ্যমে এই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনমনে স্বস্তি আনতে।

(মাদক কারবারিদের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্রায়ই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত)

সরকারিভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দেখভালের দায়িত্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের তৎপরতা তেমন দেখা যায় না এখানে।