ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),শিবচর প্রতিনিধি,শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ || কার্তিক ৯ ১৪৩১ :
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শিবচর থানার নিলখী ইউনিয়নের চরকামার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনাও হলেও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্তরা। যদিও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে থানা পুলিশ।
Advertisement
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিবচরের নিলখী ইউনিয়নের চরকামার কান্দি গ্রামে মৃত আনোয়ার মাদবরের স্ত্রী আছুরা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি রশিদ মাদবরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আছুরা। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এরই জেরে বুধবার রাতে রশিদ মাদবর তার ছেলেদের নিয়ে আছুরার বসতঘরে হামলা চালায়। পরে মারতে মারতে আছুরা ও তার ছেলে সাজ্জাদ মাদবরকে ঘর থেকে বাহিরে বের করে আনেন রশিদ মাদবর। এরপর রশি দিয়ে মা ও ছেলেকে উঠানের পাশের গাছের সাথে বেঁধে মুখের ভেতর কাপড় ভরে দেন প্রতিপক্ষ। লাঠিসোটা দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
Advertisement
একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আছুরা ও সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আশ্বাস দেয়া হচ্ছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার।
এলাকাবাসী জানায়, এমনভাবে মা ও ছেলে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা আগে কেউ কোনদিন দেখেনি। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় রশিদ মাদবর ও তার ছেলে অসহায় পরিবারটির উপর এমন নির্যাতন করার সাহস পেয়েছে। এর কঠিন বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবে না।
Advertisement
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ এজাহার দায়েরর পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।