ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজনীতি প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ || কার্তিক ৮ ১৪৩১
নড়াইলে ফোরলেন সড়কের কাজ বাস্তবায়নে বড়বাধা শহরের মধ্যে থাকা অবৈধ মার্কেট গুলো অবশেষে অপসারণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এসব স্থাপনা। এতে ভাঙা পড়ে রূপগঞ্জ বাজারে ৪টি বড় পৌর মার্কেট ও প্রেসক্লাব মার্কেটসহ ৩ শতাধিক দোকান পাট। উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
২০২১ সালে একনেক সভায় নড়াইল শহরাংশের জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫ দশমিক ৭৯১ কিলোমিটার ফোরলেন সড়ক অনুমোদন পায়। সড়কটি সদরের মালিবাগ থেকে নড়াইল শহর হয়ে সীতারামপুর গিয়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে যুক্ত করেছে। দফায় দফায় নোটিশ পাঠিয়ে মাইকিং করেও সফল হয়নি সড়ক বিভাগ। নির্দিষ্ট মেয়াদে ফোরলেন সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে সড়কের জায়গা দখলুক্ত করতে এ অভিযান।
এদিকে মার্কেট বাঁচাতে ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে মামলা করলে কয়েকদফা পিছিয়ে যায় মার্কেট অপসারণ। জেলার সবচেয়ে বড় এই বাজারের প্রায় ৩শ’ দোকানসহ ৫ শতাধিক লোকের ব্যবস- বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা। জনমনে রয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, ভাঙার নোটিশ কয়েকবারই দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের পুনঃবাসন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাবেক এমপি ও পৌর মেয়র। এখন আমরা কয়েক হাজার মানুষ রেবকার হয়ে গেলাম, আমরা কোথায় যাব।
Advertisement
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১শ’ ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফোরলেন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও স্থাপনা অপসারণ ও মামলা জটিলতায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২৫ সালের জুন মাস নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রশস্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেয়া হলেও দখলদাররা জায়গা খালি না করায় এ অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েকটি মার্কেটের আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকিগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
Advertisement
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর শহরের ভওয়াখালী এলাকায় ৩টি পাকা স্থাপনা, কয়েকটি বাউন্ডারি ওয়াল, ১২টি টিনসেড দোকান এবং ৩০টির মতো ফুটপাতের কাঁচা অস্থায়ী ঘর উচ্ছেদ করা হয়। প্রশস্তকরণ কজে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলার আওতায় শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে।