বরিশালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরে ক্রেতাসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির অভিযোগ (ভিডিও)

SHARE

https://youtu.be/5488xT1cvwY?si=wWM-zyNgdqSQ-ZTN

 

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বরিশালে প্রতিনিধি, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৯ ১৪৩১ :

করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মধ্যেই বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে শতাধিক ক্রেতাসমাগম ঘটিয়ে খুচরা মূল্যে মদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অধিদফতরের কয়েকজন কর্মীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন।

Advertisement

অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রায়ই খুচরা মূল্যে লিটারপ্রতি ৫০০ টাকা দরে দেশি মদ বিক্রি হয়। যার সরকারি মূল্য ৮৮ টাকা। শনিবার (১৮ এপ্রিল) শতাধিক লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে ওই দেশি মদ বিক্রির খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন। এ সময় কামালকে মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন অধিদফতরের কর্মচারী মো. হাসিব, মো. রোকন ও মো. রাজিব। খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওয়্যারলেস অপারেটর মো. হাসিব নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

Advertisement

এদিকে লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির খবরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এক কনটেইনার মদ ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া ১৮০ লিটার মদ অধিদফতরের একটি কক্ষে আটকে সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালত ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে থাকা মদের খুঁচরা ক্রেতাদের খুঁজে বের করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে দেশীয় মদ বিক্রির খবরে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে দেশীয় মদ বিক্রির খবরে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতএদিকে অধিদফতরের বিভাগীয় প্রধান মো. হাফিজুর রহমান অফিস ভবনের চতুর্থতলায় বসবাস করলেও লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

তবে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সরাসরি শাস্তির আওতায় আনার ক্ষমতা তার নেই। তাই বিষয়টি ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।