ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঝিনাইদহ প্রতিনিধি , শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ || আশ্বিন ২০ ১৪৩১ :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামে পুলিশের প্রায় সব ইউনিটের সদস্যরা। আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাড়ে চার শতাধিক থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুট এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারা হলে কর্মবিরতিতে যায় বাহিনীর সদস্যরা। এরপর কর্মস্থলে ফিরলেও নতুন সরকারের অধীনে শুরু হয় তুমুল রদবদল। ভেঙে পড়ে চেইন অব কমান্ড। ফলে ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই থমকে যায় বিভিন্ন আলোচিত ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত। কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তও থমকে যায়। তবে সময়ের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে আবারো তদন্ত শুরু হয়েছে আলোচিত আনার হত্যাকাণ্ডের।
Advertisement
Advertisement
তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রেজাউল করিম ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)কে বলেন, মামলার তদন্তে নতুন একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা একাধিকবার বসে আলোচিত এই মামলাটির তদন্ত দ্রুত শেষ করার বিষয়ে জানিয়েছি। এমপি আনারের মেয়ে ডরিনকেও আমরা ডেকেছিলাম। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলার মতো কিছু নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমরা চার্জশিট দাখিলের চেষ্টা করব। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেন্স নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এই মামলায় পৃথক
Advertisement
অভিযানে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। যারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। কলকাতায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার সিআইডি। ওই দুইজনও কারাগারে রয়েছেন।