বনানী কবরস্থান থেকে: গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের কবর জিয়ারত করেছেন তাদের আত্মীয়-স্বজন। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে নিহতদের স্বজনরা ছাড়াও সাধারণ মানুষও নিহত ওসি সালাহউদ্দিন, অবন্তি ও ফারাজের কবর জিয়ারত করেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ফারাজ আইয়াজ হোসেনের নানা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, তার বন্ধু মাসুম, মামা রিয়াজ ও দাদাসহ প্রায় ১০ জন আত্মীয় আসেন কবর জিয়ারত করতে। এ সময় নাতির জন্য দোয়া চেয়ে নানা ও দাদা দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফারাজ ইংরেজি মাধ্যমের যে স্কুলটিতে পড়তেন, সেখানকার দুজন শিক্ষার্থী কবর জিয়ারত করতে আসেন। কবরস্থানের সি ব্লকের ১০ নং সারিতে ফারাজের কবর।
সকাল ৯টায় সি ব্লকের ৩৫ নং সারিতে ওসি সালাহউদ্দিনের কবর জিয়ারত করছিলেন দুজন। ব্যবসায়ী খালেকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমি তার পরিবারের কেউ না। তবে তার বীরত্বের কথা শুনেছি। তাই দোয়া করে গেলাম। দেশের জন্য জীবন দেওয়ায় তিনি শহীদের মর্যাদা পাবেন, সেই দোয়া করি।
মিরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন। থানা সংলগ্ন মসজিদের ইমাম হেলালউদ্দিন সকাল সোয়া ১১টায় কবর জিয়ারত করতে আসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে ভালো পরিচয় ছিল। সব সময় খোঁজ খবর নিতেন।
এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদের কন্যা অবন্তি কবিরকে দাফন করা হয়েছে সি ব্লকের ২৭ নং সারিতে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তার কবর জিয়ারত করতে আসেন কোম্পানির এক জেনারেল ম্যানেজার তাহেরুল ইসলাম।
এছাড়াও সকাল থেকেই শতাধিক মানুষকে এই তিনটি কবর জিয়ারত করতে দেখা গেছে।