ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুমিল্লার দাউদকান্দি প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ :
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যায় অংশ নেয় বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। তারা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়।
Advertisement
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তসংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জামাল হোসেন গতকাল রাত আটটার দিকে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকার বাসার সামনে একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। পশ্চিম দিক থেকে বোরকা পরা দুর্বৃত্তরা আসে। একজন এসে দাঁড়িয়ে থাকা জামাল হোসেনকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এ সময় জামাল এক দুর্বৃত্তকে ঝাপটে ধরেন। তখন আরেকজন এসে লাথি মেরে জামালকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা পর পর তিনটি গুলি করে পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সিসিটিভির ভিডিও এসেছে পুলিশের কাছে। যুবলীগ নেতা হত্যার এই ‘এক্সক্লুসিভ সিসিটিভি ফুটেজ’ এসেছে সংবাদমাধ্যমের কাছেও।
Advertisement
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, সন্ধ্যা ঘনিয়ে সময় তখন পৌনে ৮টা। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পশ্চিম বাজারের গলিতে কালো বোরকা পরে তিনজন প্রবেশ করে। পায়ের জুতা আর হাটার ধরণে পরিস্কার বোঝা যায় তারা সবাই পুরুষ। তবে, স্পষ্ট না কোথায় যাচ্ছেন তারা।
এর প্রায় দুই মিনিট পর এক গলি দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন ওই তিনজন। যদিও তখন একজনের ঘোমটা খোলা। তাড়াহুড়োতে পড়ে যায় বহন করা পিস্তল।
এ ঘটনার কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানে চিকিৎসাধীন জামাল মারা যান।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার উপপরিদর্শক সামছুদ্দিন চৌধুরী ভিডিও ফুটেজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় অন্তত ৫০টির মতো সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ফুটেজে হত্যায় অংশগ্রহণকারীদের দেখা গেছে।
Advertisement
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা এবং গৌরীপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গুলিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে খুনিদের শনাক্ত করতে এবং ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি ডিবি ও র্যাব কাজ করছে।