ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,ক্রাইম প্রতিনিধি , শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ :
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিজ বাসায় চরমভাবে আহত হয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ৭ আগস্ট রাতে তার উত্তরার বাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা করে।
Advertisement
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তুরিন আফরোজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার ওপর নির্যাতন যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়েই যদি হয়ে থাকে, তা হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে বিচার হতে পারে। আজকে আমরা আয়না ঘর নিয়ে, এ ধরনের কিছু বিষয় নিয়ে যখন প্রতিবাদ শুনি, আইনের বাইরে গিয়ে বিচার হচ্ছে। তা হলে কি একই রকম কিছু হচ্ছে? কার কাছে বিচার দেব? কোথাও তো কেউ নেই। পুলিশ নেই। বিচার ব্যবস্থাও নেই। নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাই। তারা নতুন করে ভালো কিছু করবেন। আমি কখনো চিন্তাও করিনি, যুদ্ধাপরাধের বিচারে একজন প্রসিকিউট হওয়ার জন্য যাকে ২০১৯ সালে অপসারণ করা হয়েছে। শুধু সেই কারণে আমার চুল কেটে দেওয়া হবে? নির্যাতন করা হবে?’
দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর সবাই যখন উল্লাসে মগ্ন, তখন গণভবনের লুটপাট থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, দোকান লুটপাট, হামলা ভাঙচুর ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
Advertisement
এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ও সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে তাকে শারীরিকভাবে (পেন্সিল দিয়ে পায়ে আঘাত করে) অত্যাচার করে। মাথার চুল কেটে দেয়। পায়ে সিগারেটের আগুনে ঝলসে দেওয়া হয়। তিনি দেশ কেন ছাড়েননি এবং হিজাব কেন পরেন না সেই প্রশ্নও করে দুর্বৃত্তরা। এক সময় দুর্বৃত্তরা বারবার তার ফোন চেক করেন।
একমাত্র মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সব অত্যাচার সহ্য করেন তিনি।
শনিবার তিনি বলেন, ‘ওরা যদি মেরে ফেলতে চায় মেরে ফেলুক। মরতে তো একদিন হবেই। যাই কিছু হোক দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না। আমি এখানেই থাকব।’
Advertisement
৫ আগস্ট সরকার পতন ও সেনাপ্রধানের ভাষণের পরপর গণভবন থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যখন ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা- তখন নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মেয়ের বাড়িও ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।