তারা জানান, বাঁধার মুখে পড়ে তারা স্থানীয়দের ওপর চড়াও হয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়াও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে বিএনপি নেতা এসএম জিলানী ও তার পরিবারের সদস্যদেরসহ অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীকে। গুরুত্ব আহত অবস্থায় জিলানী ও তার পরিবারের সদস্যদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের অধিকাংশের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশি অস্ত্রের কোপ আছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিন জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রাম মোড়ে আমরা শান্তিপূর্ণ পথসভা শেষ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলাম।
Advertisement
ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিন মোল্লা, গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিকরুল ফকির, স্থানীয় আওয়ামী নেতা আলিমুজ্জামান ও হাসান মোল্লার নেতৃত্বে গাড়িবহরে হামলা করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় ঘোনাপাড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন।
Advertisement
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। কেন ঘটনাটি ঘটেছে, এখনও জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন, ব্যানার টানাটানি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাস্থলের অদূরে পাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশ থেকে শওকত আলী নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।