ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,ঢাকা প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ :
জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে ওই পদপ্রত্যাশী কর্মকর্তাদের বিশৃঙ্খলা শোভন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির একমাত্র সদস্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
Advertisement
এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেন, আমি বিভিন্ন নিউজ দেখে সাধারণভাবে মনে করি, এটা শোভন হয়নি। কারা করেছে, যারা ডেপুটি সেক্রেটারি, সিনিয়র অফিসার, ডিসি হতে ইচ্ছুক, তালিকায় তাদের নাম ছিল, কিন্তু তারা হয়নি। তালিকায় নাম থাকলেই যদি তারা মনে করেন যে, তারা ডিসি হয়েছেন, এটা ঠিক নয়। আমাদের বাছাই করে ৬০ জনের তালিকা দিতে বলেছে। যারা ডিসি হননি, তাদের তো পদাবনতি হননি, ইজ্জতহানি হয়নি। তারা কেন হননি, আমরা কিন্তু সেটা প্রকাশ করিনি। যদি প্রকাশ করার কোনো আইনগত সুযোগ থাকে (যদিও সেই সুযোগ নেই), তাহলে তারা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হবেন। অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট অনুযায়ী আমরা এটা প্রকাশ করতে পারি না। তিনি সেই পদের জন্য যোগ্য হতে পারেননি, ‘অযোগ্য’ শব্দটা আমরা ব্যবহার করি না।
Advertisement
তিনি বলেন, সব ডেপুটি সেক্রেটারি ডিসি হয় না কি? কম করে হলেও ১ হাজার ডেপুটি সেক্রেটারি থেকে মাত্র ৬৪ জন ডিসি হন। বর্তমান সরকার পাঁচজন বাদে ৫৯ জনকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রেকর্ড আছে, একজন ডিসিকে দ্বিতীয় দিনেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। যাওয়ার আগে যদি প্রিকনসেন্ট বলেন, এদের সবাই স্বৈরাচার সরকারের উপকারভোগী ছিল! কয়েকজন সচিবের নেতৃত্বে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে দেখেছে, টপ স্কোরার, বেস্টদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন বিতর্ক হয়েছে, এরা খারাপ, এরা ভালো। এরইমধ্যে জনপ্রশাসন সচিব কয়েকজনকে বাতিল করেছেন।
Advertisement
এম এ আকমল হোসেন আজাদ আরও বলেন, একটা জেলার ডিসি মানে, একটি মিনি বাংলাদেশের তিনি নেতা। বর্তমান সময়ে ১২০টি কমিটির সভাপতি তিনি। ডিসির মাধ্যমেই সবকিছু চ্যানেলাইজ হয়ে যায়। সুতরাং, ডিসির অভিজ্ঞতা, বয়স, স্বাস্থ্য অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। আমি কিন্তু বিভাগীয় মামলা করার অথরিটি না। সাক্ষ্য-প্রমাণে আমি কী পেলাম, সেটা বলতে পারি- কারা দোষ করেছে, কারা করেনি।