আবাসিক হোটেলের আড়ালে বেপরোয়া অসামাজিক কর্মকাণ্ড (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,বিশেষ প্রতিনিধি ,রোববার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১ 

করোনার পর বেপরোয়া হয়ে উঠছে আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা পš’ায় চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে চরম বিব্রতকর অব¯’ায় পড়েছেন হোটেলে ওঠা সাধারণ বোর্ডাররা। অনেকের অভিযোগ, মনে হয় অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে এসব আবাসিক হোটেল। এতে মানুষের মাঝে আবাসিক হোটেল সম্পর্কে বাজে ধারণার স”ষ্টি হ”েছ।

 

Advertisement

সম্প্রতি রাজধানীর শ্যামপুর, পোস্তগোলা, কদমতলী এলাকায় গড়ে ওঠা নি¤œমানের কিছু আবাসিক হোটেলে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যা”েছ। হোটেলগুলোতে অবাধে দেহব্যবসা চলায় ¯’ানীয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। আবার অর্থের অভাবে অনেক নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গ”হবধূরাও কাজে যুক্ত হ”েছ। আবার কেউ কেউ হোটেলের দালালদের খপ্পরে পড়ে বাধ্য হ”েছ এই ব্যবসায়। এসব দালাল হোটেলের আশপাশে ঘুরঘুর করে খদ্দের সংগ্রহ করে। তারা রাস্তায় চলমান মানুষদের কাছে ছোট্ট করে কিছু লাগবে নাকি, নতুন আছেসহ অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। যাতে অনেক পথচারীই বিরক্ত প্রকাশ করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে শ্যামপুরে দক্ষিণবঙ্গ প্লাজার চতুর্থ তলায় রিমঝিম আবাসিক হোটেলে দিন-রাতে অবাধে চলছে দেহব্যবসা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো সংস্থা অভিযান চালালেই যৌনকর্মীদের হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগÑ এই ধরনের কিছু হোটেলের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আবাসিক হোটেলের নামে আড়ালে তাদের প্রধান কাজ তারা অসামাজিক কাজ চালানো। বিভিন্ন জেলা থেকে অগত মানুষ না বুঝে এসব হোটেলে উঠে বিব্রতকতর অবস্থার শিকার হন। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে দেহব্যবসায়ীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

জানা গেছে, হোটেলটি পরিচালনাকারী মো: হানিফ এক সময় এ হোটেলে কাজ করতেন। রাতারাতি মোটা পয়সার মালিক হতে নিজেই হোটেলের মালিক হন। এরপর শুরু হয় অনৈতিক কর্মকাণ্ড। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু রিমঝিম নয়, অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হয় হোটেল পপুলার, হোটেল বলাকা, হোটেল সুরমা, হোটেল রয়েল, হোটেল রিদম ও হোটেল প্রেস, বেশ কিছু হোটেলেই অসামিজক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, পুলিশ অভিযান চালালেই নামে-বেনামে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। যার তালিকায় কিছু নামধারী সাংবাদিকও রয়েছে। তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ শ্যামপুর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সাথে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড রুখতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

Advertisement