ঢাকা: ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) চলমান আসরে খেলতে যাওয়ার আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের হয়ে আরও ছয় থেকে সাত বছর খেলতে চান। এবার টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল জানালেন, লাল-সবুজদের হয়ে আরও ছয় বছর খেলতে ইচ্ছুক তিনি।
সাকিব দেশের রঙ্গীন জার্সি গায়ে আরও সাত বছর খেললে টাইগারদের হয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের ওয়ানডে আসরে খেলা হবে তার। তবে, তামিম যদি ছয় বছর খেলেন তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই বিদায় নেবেন তিনি!
এমন আলোচনা ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’র একটি রিপোর্টের পর শুরু হয়েছে। যেখানে বিশেষ সাক্ষাৎকারে তামিম জানিয়েছেন, দেশের হয়ে আরও ছয় বছর খেলা চালিয়ে যাবেন। তার হিসেবে ২০২২ সালে অবসর নেবেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী তামিম টাইগারদের হয়ে তিন ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ রানের মালিক। ১৫৩ ওয়ানডে ম্যাচে ৪ হাজার ৭১৩ রান করেছেন তিনি। সাদা পোশাকে ৪২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে করেছেন ৩ হাজার ১১৮ রান। আর ৫২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাঁহাতি এই ওপেনারের রান ১ হাজার ১৫৪।
ক্রিকইনফোকে তামিম জানান, ‘আমি আরও ছয় বছর খেলতে চাই। সত্যিই আমি যেকোনো একটি ফরম্যাটে ১০ হাজার রান করতে চাই। টেস্টে সেটা কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে যদি আরও ১৫০টি ওয়ানডে খেলতে পারি তাহলে তা সম্ভব।’
ওয়ানডেতে ৩৯.৪৬, টেস্টে ৩১.৬৩ আর টি-টোয়েন্টিতে ২৪.৫৫ গড়ে ব্যাট করা তামিম জানান, ২০১০ সালটি আমার জন্য দুর্দান্ত ছিল। ২০১৫ সালেও আমি পরিকল্পনা করেছি কি কি অর্জন করতে হবে। পরিকল্পনা মতো আমার অর্জনগুলো ধরা দিয়েছে। চেয়েছিলাম ২০১৫ সালে সব ফরমেটে এক হাজার রান পূর্ণ করবো। লক্ষ্য ছিল টেস্টে এবং ওয়ানডেতে ৫০ এর উপরে ব্যাটিং গড় ধরে রাখবো। আমি সেটির কাছাকাছি করেছি। নিজের ব্যাটিংয়ের ফল দেখে তৃপ্ত হয়েছি।
নিজের ফিটনেস নিয়ে বলতে গিয়ে তামিম জানান, ‘ফিটনেস আপনাকে সেঞ্চুরি দেবে না। কিন্তু ফিটনেস আপনাকে আরও দীর্ঘ সময় খেলাতে সাহায্য করবে। একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমি এখন সাব্বির রহমানের মতো হতে পারবো না। হয়তো আমার বয়সী অন্য ক্রিকেটারের চেয়ে ফিটনেসে এগিয়ে থাকতে পারবো। আর এটা আমাকে আরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাখবে।’
পাঁচ বছর আগের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তামিম জানান, তখন মোটামুটি ম্যাচের ফল বলে দেওয়া যেত। কিন্তু, এখন টাইগারদের সময় বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করেছে। তামিমের মতে, লাল-সবুজরা ভালো পারফর্ম করছে দেখেই অন্য দলগুলো তাদের বিপক্ষে খেলতে চাইছে না।