৩০ ফুট সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংকের ১৬ কোটি টাকা লুট (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১ :

কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ দল ৩০ ফুট সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুট করে। শহরের রথখোলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার পাশের ভবন থেকে সুড়ঙ্গ কেটে ভল্টে রাখা টাকা লুট করা হয়।

Advertisement

শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার ব্যাংক খোলা হলেও ভল্টের তালা খোলা হয় দুপুরের পর। তখনই টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ব্যাংকের গার্ড ইনচার্জসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন মৃত আমিনুল হকের দুই মেয়ে ডাক্তার রনি ও মিনার মালিকানাধীন বাসা প্রায় ছয় মাস আগে ভাড়া নেন সোহেল নামের এক যুবক। ভাড়া বাসার কক্ষের ভেতর থেকে প্রায় ৩০ ফুট সুড়ঙ্গ (যার প্রস্থ ২ ফুট ও গভীরতা আড়াই ফুট) কেটে ব্যাংকের নিচতলায় ভল্টের সঙ্গে সংযোগ করে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, ঘটনার পর থেকে ভাড়াটে সোহেল পলাতক। তিনি ধারণা করছেন, চোরের দলটি অন্তত দুই মাস ধরে সুড়ঙ্গটি কেটেছে।

ব্যাংক ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাশ ইনচার্জ মহসিনুল হক ও হাসান আহমেদ বিষয়টি তাকে জানালে ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শন করে তিনি জোনাল ডিজিএম ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।

Advertisement

সোনালী ব্যাংক জোনাল অফিসের ডিজিএম শেখ মো. আমান উল্লাহ সমকালকে জানান, ঘটনা তদন্তে ব্যাংকের এজিএম ফজলুল হককে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সমকালকে জানান, রোববার বিকেলে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার বিষয়টি জানান। ব্যাংক ম্যানেজার তাকে আরও জানান, ভল্টের ভেতরে টেবিলের ওপর ওই টাকা রাখা ছিল। পুলিশ সুপার বলেন, সুড়ঙ্গটি কাটতে দীর্ঘদিন লেগেছে। চুরির ঘটনাটি তদন্তে সিআইডির একটি বিশেষ টিম সিলেট থেকে রওনা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই ব্যাংকে দায়িত্বরত গার্ড ইনচার্জ রাসেলসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের ভল্টে কয়েকটি সিন্দুক ও আলমারি আছে। এগুলো ভেঙে টাকা চুরি হয়নি। সিন্দুক ও আলমারির বাইরে রাখা টাকা চুরি হয়েছে।

জানা গেছে, ওই ব্যাংকে ২৪০ কোটি টাকা ছিল। ট্রেজারি ব্রাঞ্চ হওয়ায় পুরো জেলায় সরকারি সব অর্থ এখানে জমা থাকে। ওই কর্মকর্তা জানান, মাসের প্রথম দিকে এই ব্যাংকে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা জমা ছিল।

Advertisement