ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) , বিনোদন প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪, ৮ ভাদ্র ১৪৩১ :
মাহ্বুব হাসান জ্যোতি ও মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদুল ইসলাম খান: বেশ জোরালোভাবেই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিয়ের সংবাদ শোনা যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব চুকিয়ে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এ জনপ্রিয় শিল্পী। বর হলেন নিজের গড়ে তোলা মানিকগঞ্জ সদরের ‘মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল’-এর আবাসিক চিকিৎসক মো. মঈন হাসান চঞ্চল। চঞ্চলের বাবা ডা. মো¯-াফিজুর রহমান ও মা ডা. জাহানারা বেগম যশোর শহরের লালদিঘীর পাড়ের সালেহা ক্লিনিকের মালিক। সূত্র জানায়, চঞ্চলের বাবা-মার সম্মতিতেই এ বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর তারা দুজনে যশোরেও গিয়েছিলেন।
Advertisement
জানা গেছে, মমতাজের আগের স্বামী মানিকগঞ্জের পৌর মেয়র রমজান আলীর সঙ্গে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিচ্ছেদ ঘটে। মমতাজের প্রথম স্বামী ছিল বাউল শিল্পী রশিদ বয়াতি। এরপর মানিকগঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান মো. রমজান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মমতাজের তৃতীয় বিয়ে হলেও চঞ্চলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানা গেছে।
বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে মমতাজ বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মেবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে এক সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ ঢাকায় নেই। তিনি গতকাল ভোরে চট্টগ্রামে গেছেন। রাতেই তার ঢাকায় ফিরে আসার কথা। সেখান থেকে ফিরলে মুখ খুললেও খুলতে পারেন।
Advertisement
মমতাজের বিয়ের সংবাদে মানিকগঞ্জ জেলায় মুখরোচক নানান গল্প শুরু হয়েছে। চিকিৎসক মো. মঈন হাসান চঞ্চলের সঙ্গে চক্ষু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে চঞ্চলের বাবা ডা. মো¯-াফিজুর রহমান বলেন, ওরা একে অন্যকে পছন্দ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। আমরাও তা মেনে নিয়েছি। রমজান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডাক্তারের সঙ্গে মমতাজের সম্পর্ক আছে এটা আমিও জানতাম। কিন্তু বিয়ে হয়েছে কিনা এটা স্পষ্ট করে বলতে পারব না। মমতাজ আর সেই ডাক্তারের যদি বিয়ে হয়েই যায়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি এখনও বলতে চাই, মমতাজের দেওয়া কোনও ডিভোর্স লেটার আজও আমি পাইনি। আর যদি সত্যিকারভাবেই সে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধাš- নিয়ে থাকে, তাহলে মমতাজের ঘরে আমার যে দুই মেয়ে রয়েছে, তাদের পেতে প্রয়োজনে আদালতের আশ্রয়ে যাব।
Advertisement
রমজান আলী জানান, ১৯৯৯ সালে তিনি মমতাজকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছর পর ২০০১ সালের ৭ জানুয়ারি তাদের প্রথম কন্যাসš-ান জš§ নেয়। নাম রোহানী। এরপর ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় কন্যা রৌজের জš§ হয়। তিনি আরও জানান, মমতাজের ঘরের দুই সš-ানের সঙ্গে এখনও তার সম্পর্ক আছে। গত মাস দুয়েক আগে তিনি কন্যাদের ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন বলে জানান।
মেয়র রমজানের বড় স্ত্রী আফরোজা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি প্রথম স্ত্রী হয়েও মমতাজ আর রমজানের বিয়ে মেনে নিয়েছিলাম। তার বাচ্চাদের দেখলে আমি নিজের মেয়েদের মতো আদর করি। এ জন্য ডিভোর্সের পক্ষে আমি ছিলাম না। মমতাজ যদি এটা করে থাকে, তাহলে ভুল করেছে। কারণ মমতাজ পার্লামেন্ট মেম্বার এবং রমজানও একজন জনপ্রতিনিধি। দুজনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে এটা করা উচিত হয়নি।