তাই এখানে কোনো দল-মত কিংবা পক্ষ-বিপক্ষ নেওয়ার সুযোগ নেই। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং যে দোষী, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement

অভিযোগ আছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বলেন, ‘ব্লক রেইড পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো সাধারণ মানুষ, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং নিরপরাধ কাউকে ধরার বিন্দুমাত্র কোনো সুযোগ নেই। ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

ব্লক রেইডে ডিএমপির সিনিয়র অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে, যেন ব্লক রেইডে কোনো ধরনের আইনের ব্যত্যয় না ঘটে, নিরপরাধ কেউ যেন বিন্দুমাত্র পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়। এরপরও যদি কোনো ব্যত্যয় হয়, সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নিই। তবে যে অপরাধী, তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে ঢাকা শহরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় ডিএমপির ৫০টি থানায় ২৬৪টি মামলা রুজু হয়েছে। আরো চার-পাঁচটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এসব মামলায় দুই হাজার ৮৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে আনা হয়েছে অসংখ্য আসামিকে। রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পেয়েছি, সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’

Advertisement

২৬৪টি মামলার মধ্যে নিহতের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিভিন্ন থানায় ৫৩টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহতের পরিবার বাদী হয়েছে এবং কিছু মামলার বাদী পুলিশ। এসব মামলার শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। পুলিশ এখানে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তদন্ত করবে। এসব মামলা ডিএমপি কমিশনার নিজে তদন্ত তদারকি করবেন। সিনিয়র অফিসারদের এসব মামলা মনিটরিংয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো হত্যাকাণ্ড অবশ্যই দুঃখজনক। পুলিশ কোনো মৃত্যু প্রত্যাশা করে না।’