আরজি কর কাণ্ড: সেই রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিল গ্রেপ্তার সঞ্জয় রায় (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪, ২ ভাদ্র ১৪৩১ : 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ঘটনার দিন রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। পুলিশ প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

এতে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা সঞ্জয়ের গতিবিধি ট্র্যাক করেই জানতে পেরেছে যে সেই রাতে সঞ্জয় যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। তারপর সেখান থেকে সে আরজি কর হাসপাতালে ফিরে এসেছিল।

ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে দেখা যায়। এর কিছু পরে সঞ্জয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে ফেরে সে। সেমিনার হলের কাছে সিসি ক্যামেরায় তাকে দেখা যায় ভোর ৪টা নাগাদ। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর সেখান থেকে আবার বেরিয়ে যায় সঞ্জয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাতে আরজি কর থেকে বেরিয়ে সঞ্জয় কোথায় গিয়েছিল, সেই খোঁজ করতে জানা যায় যে অভিযুক্ত সেই সময় যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। সেই সময় সঞ্জয় একা ছিল না। সঙ্গে ছিল এক বন্ধু।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় এক নারী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তার পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তার মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। সেই চিকিৎসকের গলাতেও ক্ষত ছিল বলে জানা যায়। রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মেলে ছোপ রক্তের দাগ। এই সবের মাঝে সঞ্জয় রায় বলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনা মূল অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এমনকী ‘ভিতরের লোক’ জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

Advertisement

এদিকে পুলিশ দাবি করেছিল, ঘটনার রাতে সঞ্জয় সেমিনার হলে ছিল। এদিকে এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এর আগে জানা গিয়েছিল, অপরাধের জায়গা থেকে পুলিশ একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ছেঁড়া অংশ পেয়েছিল। সেই তারটি সঞ্জয়ের ইয়ারফোনেরই অংশ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিল।