ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ ,২৬ শ্রাবণ ১৪৩১, ০৫ সফর ১৪৪৬: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে চান তরুণরা। এ লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাজের বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি সাম্য ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করাই এ দলের লক্ষ্য হবে বলে জানিয়েছেন দুই সমন্বয়ক।
শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে তারুণ্যের প্রতিবাদে সৃষ্ট গণজোয়ারে নতুন যুগে পদার্পন করেছে বাংলাদেশ। এখন রাষ্ট্র সংস্কারের পালা। আর সেই গুরুদায়িত্ব পালনে পাঞ্জেরীর ভূমিকায় তরুণরা। তাদের ঘিরে ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যেন একটু বেশিই। তরুণরাও ঢেলে সাজাতে চান বাংলাদেশকে।
Advertisement
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনে তরুণদের প্লাটফর্ম- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবার গঠন করতে পারে নতুন রাজনৈতিক দল। এতো রাজনৈতিক দলের ভিড়ে কেনো আবার নতুন দল গঠন প্রয়োজন? এমন প্রশ্নে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সাফ জবাব, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো পরিবারতান্ত্রিক কাঠামো থেকে বের হতে পারেনি বলেই, প্রতিষ্ঠিত হয়নি সাম্য ও মানবিক মর্যাদা। তাই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এই পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, ‘সবাই এখন ছাত্রদের ওপর আশা রাখতে চায়। সেই আশা পূরণে গণমানুষের প্রতিফলন ঘটাতে রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। এখন নাগরিকদের প্রত্যাশা যদি আমাদের ওপর ধারাবাহিকভাবে থাকে, তাহলে আমরা রাজনৈতিক দল গঠনে চিন্তা করবো।’
Advertisement
কেমন হবে নতুন এই দলের কাঠামো? কারা থাকবেন নেতৃত্বে? সেই বিষয়ে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, এমন একটা সরকার থাকবে যে বিশ্বের পরাশক্তির সরকার না হলে এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে।
জেঁকে বসা দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটাতে চান তরুণরা। ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র সংসদ সক্রিয় করার পরিকল্পনা তাদের। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার করতে চান শিক্ষা ব্যবস্থার, ঢেলে সাজাতে চান স্বাস্থ্য খাতও।
Advertisement
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণে যারা ছিল এতোদিন বা আছে তারা বার্ধক্যের ভারে তরুণদের কথা বুঝতে পারেনি। আমরা তরুণদের কথা শুনবো। দেশের জনগণের কথা শুনবো। তার ভিত্তিতেই একটি দল গঠিত হবে। কোন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হবে না। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি বন্ধ করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।’
আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিচার ব্যবস্থার সংস্কারও চান তরুণরা।