ঢাকা: দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৯ হাজার। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩৩ লাখ ১৬ হাজার, যার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) রোববার (২৬ জুন) সর্বশেষ মে মাসের মোবাইল গ্রাহক ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
গত এপ্রিলে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার এবং ইন্টারনেট গ্রাহক ৬ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার। দুই মাসের তথ্যে দেখা যায়, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে।
মে মাসের তথ্যে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার। পূর্বের মাসে ছিল ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার।
বাংলালিংকের সর্বশেষ গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ২২ লাখ ৩১ হাজার। এপ্রিলে যা ছিল ৩ কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার।
রবির গ্রাহক ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার, আগের মাসে যা ছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার।
এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা চলতি মাসের হিসেবে ১ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার। পূর্বে যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৩ হাজার।
সিটিসেলের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার। পূর্বে ছিল ৭ লাখ ৬৮ হাজার। অর্থাৎ সিটিসেলের গ্রাহক কমেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের এপ্রিলের পরিসংখ্যানের গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখ ৬৩ হজার। আগের মাসে ছিল ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার।
গত বছরের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক তথা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে মোবাইল সংযোগ রি-ভেরিফিকেশনের পর সর্বশেষ মে মাস নাগাদ ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিকের সময় গ্রাহক সংখ্যা তিন মাস কমতে থাকলেও এপ্রিল মাসে তা বাড়তে শুরু করে।
বেড়েছে ইন্টারনেট গ্রাহক:
মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৬ কোটি ৩৩ লাখ ১৬ হাজার। এপ্রিলে যা ছিল ৬ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার।
এরমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার। আর এপ্রিলে ছিল ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার।
ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক বর্তমানে ১ লাখ ১৮ হাজার থাকলেও পূর্বের মাসে ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার।
আইএসপি ও পিএসটিএন গ্রাহক বর্তমানে ৩৩ লাখ ৭০ হাজার। আগের মাসে ছিল ৩২ লাখ ১৯ হাজার।