ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ : ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ধর্মগুরুর ডাকা সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই ওই ধর্মগুরুকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আসলে কতটা শক্তিশালি যে এভাবে গা ঢাকা দিতে পারলেন?
Advertisement
জানা যায় এই ধর্মগুরুর প্রকৃত নাম সুরাজ পাল সিং। তার রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বাহিনীর নাম ‘নারায়ণী সেনা’। একসময় নিজেও পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ১৮ বছর চাকরি করার পরেই অবসর নেন এবং স্বঘোষিত ধর্মগুরুতে পারিণত হন সুরাজ।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের নগরি গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম তার। ওই প্রদেশসহ রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে অনেক ভক্ত রয়েছে। ধর্মগুরু হিসেবে কাজ শুরুর করার সঙ্গে সঙ্গে নামও পাল্টে ফেলেন সুরাজ। তিনি হয়ে যান নারায়ণ সাকার হরি। ভক্তরা তাকে এই নামে অথবা ভোলে বাবা বলে সম্বোধন করেন।
পরিচিত ভোলে বাবাদের মতো নন, তিনি গেরুয়া পোশাক পরেন না। সাদা স্যুট পরেন। কখনো কখনো পরেন সাদা পাঞ্জাবি ও পাজামা। তার পাশে দেখা যায় স্ত্রী প্রেমবতীকে।
Advertisement
এই ভোলে বাবা বসবাস করেন মাটির ঘরে। পায়ে হেঁটে হেঁটে অনুসারীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ধর্ম প্রচার করেন। বলে থাকেন ডোনেশনের টাকা তিনি নেন না, ভক্তদের মাঝে বিলিয়ে দেন। অথচ এই ভোলেবাবার রয়েছে বিরাট আশ্রম।
গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাকে। বিশেষ করে ২০২২ সালের পর থেকে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কোভিড চলাকালে যখন মানুষকে একত্রিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছিল তখনও উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে একটি সৎসঙ্গ সভা করেছিলেন এই ভোলা বাবা।
Advertisement
ওই সভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। তখনও এই বিষয়ে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। প্রশ্ন উঠছে এই সভা বিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না?
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে