প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী যে কার্যক্রম নিয়েছি, তার ফলে বাংলাদেশে আজকে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। কারণ কিছু তো থাকেই সবসময় একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় একথা বলেন দলটির সভানেত্রী হাসিনা।
তিনি বলেন, “সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে, সুরক্ষিত করেছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
“আমরা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই কামনা করি।”
সরকারকে সহযোগিতার জন্য সংসদের সব সদস্য এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান সংসদ নেতা হাসিনা।
“তাদের সকলের সহযোগিতায় কিন্তু আমরা গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে পেরেছি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পেরেছি। আমি দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
আওয়ামী লীগের ৬৭ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে এগোতে হয়েছে। বারবার আঘাত এসেছে। শহীদের তালিকাও যদি দেখি, তাহলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলনে জীবন দিয়ে গেছে।
“সকল ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগ অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সবসময় আওয়ামী লীগেকে সুসংগঠিত করে রেখেছে।”
সরকারের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথাও বলেন তিনি।
“জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিলে এই বাংলাদেশ নিয়ে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নত করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটা উন্নত দেশ।”
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে এই অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোনো দল কোনো দেশে চার-চারটি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি। আওয়ামী লীগ একমাত্র দল এই দেশে চারটি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।
“আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি সামরিক সরকাররা করেছে। বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, নেতা-কর্মীদের হত্যা। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর প্রতি পদক্ষেপে তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও আছে। বঙ্গবন্ধু যেমন নিজের জীবন উপেক্ষা করে এ দেশেকে স্বাধীন করেছে। তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা ষড়যন্ত্র পদদলিত করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন কায়েম করার জন্য কাজ করছেন।”