আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ছবি প্রকাশ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলকাতা প্রতিনিধি,বুধবার, ১২ জুন ২০২৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সাথে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্লাটটিতে ঠিক কী ঘটেছিলো, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ভিডিও এসেছে একাত্তরের হাতে।

Advertisement

ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীদের বিচার চাই । 

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ

ভিডিওতে দেখা গেছে, কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানাচ্ছে, বালিশ চাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করার পর ঐ ফ্ল্যাটের বাথরুমে কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো ফ্ল্যাশ করা হয়।

Advertisement

হত্যার পর সংসদ সদস্যকে বেঁধে রাখার চিত্রও প্রকাশ পেয়েছে ভিডিওতে। এতে দেখা যাচ্ছে, অজ্ঞান করার রাসায়নিক ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা। মৃত আনারকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়।

anar

এই হত্যার তদন্তে গেলো ২৬ মে কলকাতায় যায় ডিবি পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদকে সাথে নিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেই ফ্লাটেও যান তদন্তকারিরা। এ সময় আনার হত্যায় কে কীভাবে জড়িত ছিলো, কার কী ভূমিকা ছিলো, হত্যার পর কীভাবে আনারের দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়, সবই স্বীকার করে জিহাদ।

জিহাদের তথ্যেই জানা যায়, ফ্ল্যটের বাথরুমে টুকরো টুকরো করে আনারের দেহাংশ করে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

জিহাদ জানায়, ট্রিপ্লেক্স সেই ফ্ল্যাটের বসার ঘরে আনারকে স্বাগত জানান শিলাস্তি। পরে আসে জিহাদ। তখন শিলাস্তিকে নিচের ফ্লাটে যেতে বলা হয়।

পুলিশ জিহাদকে নিয়ে ফ্ল্যাটের নিচে নামার পর জিহাদ দেখায় কোথায় বালিশ চাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, এই লাশের কোন টুকরো যেনো কোনদিন না খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তারা সিয়াম এবং জিহাদকে ব্যাবহার করেছে। এবং তারা এমন পদ্ধতি বব্যার করেছে যেন একজনের তথ্য অন্যের কাছে না যায়।

anar2

 বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামীই এই হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে কসাই জিহাদ হাওলাদার।

Advertisement

গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরেরদিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।

এরপর ২২ মে সকালের দিকে তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।

খুনের আলামত মুছে ফেলতে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে হত্যার পর মরদেহ ফেলার কাজে অংশ নেয়া মুম্বাই থেকে ভাড়া করে আনা কসাই জিহাদকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত নেপালে গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকেও হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

আর ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন হত্যাকাণ্ডের মূল সংঘটক চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে হেফাজতে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ।