স্বামীর ফার্মেসিতে মিলল স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি  ,শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর ফার্মেসির ভেতর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ক্যাপ্টেন সিএনজি’র পাশের এক ফার্মেসি থেকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ভিকটিমের স্বামী।

Advertisement

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহতের নাম রেহেনা আক্তার (২৭)। তিনি গোপালগঞ্জের ইদ্রিস আলী ভুইয়ার মেয়ে। স্বামী কিবরিয়ার (৪০) বাড়ি নড়াইল বলে জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মোস্তফা কামালের বাড়িতে ভাড়া থেকে তারই মালিকানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এক দোকান ভাড়া নিয়ে ওষুধসহ মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জের ব্যবসা পরিচালনা করতেন কিবরিয়া। ৪ মাস আগে মোস্তফার ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী রেহেনাকে গ্রামে পাঠিয়ে দেয় এবং কিবরিয়া দোকানে বসবাস শুরু করে। ৩ দিন আগে রেহেনা বাড়ি থেকে আসে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনই দোকানে বসবাস শুরু করে। শুক্রবার সকাল থেকে দোকানটি বন্ধ দেখতে পান স্থানীয়রা। সন্ধ্যার দিকে পাশের অপর দোকানদার সোহেল মোবাইল রিচার্জ করতে দোকানে যান। দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে ভেতরে আলো জ্বালানো অবস্থায় দোকান বন্ধ দেখতে পেয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে মেঝেতে এক নারীকে শুয়ে থাকতে দেখেন। সারাদিন দোকান বন্ধ অবস্থায় ভেতরে নারীকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি সন্দেহ হয় তার। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি মার্কেট মালিক মোস্তফাকে জানালে ঘটনাস্থলে এসে মোস্তফা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের তালা ভেঙে মেঝেতে রেহেনার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

ওসি আকবর আলী খান বলেন, রেহানা আক্তার কিবরিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঁটি দিয়ে গলাকেটে ওই নারীকে হত্যা করেছেন তার স্বামী কিবরিয়া। হত্যার পর মরদেহ দোকানের ভেতর ফেলে বাইরে থেকে শাটারে তালা দিয়ে কিবরিয়া পালিয়ে যান। ওই নারীর স্বামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিস্তারিত জানা যাবে।