ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলকাতা প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : কলকাতার ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পর তাঁর লাশ খণ্ড খণ্ড করে কিছু অংশ বাইরে ফেলা হয় এবং কিছু অংশ কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। বাইরে টুকরাগুলো ফেলেন কলকাতায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার ও নেপালে পলাতক ভোলার বোরহানউদ্দিনের সিয়াম হোসেন।
Advertisement
ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীদের বিচার চাই ।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) দেওয়া চিঠিতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এমপি আনারের মাংসের টুকরাগুলো দুটি টয়লেটের কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়। হাড় ও মাথার টুকরাগুলো একটি লাগেজে ভরে জিহাদ ও সিয়ামকে দেওয়া হয়। তাঁরা ওই টুকরাগুলো কাছাকাছি থাকা বর্জ্য খালে ফেলে দেন।
Advertisement
তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলোই হয়তো কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়েছিল। এখন বাইরে ফেলে দেওয়া খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এ জন্য জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতা পুলিশ তাঁকে নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তাঁর দেওয়া তথ্যে লাশের কোনো অংশ উদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় কলকাতা ও ঢাকার পুলিশের ধারণা, সিয়ামকে গ্রেপ্তার করতে পারলে লাশের বাকি অংশগুলো উদ্ধার হতে পারে।
Advertisement
সিয়াম এলাকায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত। সিয়ামের বাবার সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা জানেন, সিয়াম ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করেন এবং চাকরির সুবাদে প্রায়ই ভারত ও নেপাল যান।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়া ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েক টুকরা মাংস ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই টুকরাগুলো সংসদ সদস্যের লাশের খণ্ডিত অংশ কি না, তা নিশ্চিত হতে কলকাতায় যাচ্ছেন আনোয়ারুলের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস।
Advertisement
সংসদ সদস্য খুনের কারণ নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে ঢাকা ও কলকাতার পুলিশ। গতকাল এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আনোয়ারুল আজীমকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ তা জানতে পারেনি। খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই হত্যার মূল উদ্দেশ্য জানা সম্ভব হবে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহীনকে ফেরাতে ভারতের কোনো সহযোগিতা নেবেন কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে, ভারতে ঘটনা ঘটেছে, তাই সেখানেও বিচার হতে পারে। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।