এমপি আনার হত্যা প্রমাণে সিআইডির হাতে ৬ সাক্ষী

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলকাতা প্রতিনিধি  ,শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : কলকাতায় খুন বাংলেদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায়  কলকাতায় সিআইডির এফআইরে মূলত অভিযুক্ত করা হয়েছে সাতজনকে। তবে প্রাথমিক অভিযোগপত্রে আরো অভিযুক্তদের থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিআইডি। সিআইডির এফআইরে  অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে আমানুল্লাহ সায়েদ, সিলেস্তি রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী শাহী। জিহাদ ওরফে জুবের, সিয়াম হোসেইন এবং আখতারুজ্জামান শাহিন (সবার নাম পাসপোর্ট অনুযায়ী) এবং ‘অন্যান্য’।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোডের ৩৬৪, ৩০২, ২০১, ১২০বি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সিআইডি বলছে সঞ্জীবা গার্ডেনের ডুপ্লেক্স ফ্লাটের মেইন ফ্লোরের বাথরুমে এমপি আনোয়ারের দেহ টুকরো টুকরো করা হলেও রক্ত ছড়িয়ে ছিল ঘরের চারিদিকে। ফ্ল্যাটের মূল দরজার চার ফুটের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রথম ব্লাড স্যাম্পল, দ্বিতীয় ব্লাড স্যাম্পল পাওয়া গেছে মাত্র ছয় ফুট দূরত্বে। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের উপস্থিতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। ফরেনসিক টেস্টের রিপোর্ট যা আসুক একাধিক সাক্ষীর বয়ান ইতোমধ্যেই রেকর্ড করেছে তারা।

Advertisement

সিআইডির দাবি ভারতের ইতিহাসে কলকাতার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অন্তত তিনটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। সিআইডির এফআইআরে একটি গাড়ি সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি লাশ ফেলার ক্ষেত্রেও এই গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়িটির ড্রাইভার সিদ্ধার্থ কুণ্ডুকে অন্তত ৭০ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে তাকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়নি এমপি আনারের কথিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসকেও। এই দুজনকেই সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করতে চায় সিআইডি। এই দুজনের দেয়া প্রাথমিক তথ্যে পুলিশি তদন্ত এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি দুজনের দেয়া তথ্য যাচাই করে কখনোই ভুল পায়নি তারা।

এছাড়াও গোপাল বিশ্বাসের বরানগরের বাড়ি থেকে  নিউটাউনের অ্যাক্সিসমল পর্যন্ত যে হোন্ডা আমেজ গাড়িটি এমপি আনার ব্যবহার করেন তার ড্রাইভার নাজিব খানকেও একাধিকবার জেরা করা হয়, তবে তাকে গ্রেপ্তার করেনি সিআইডি। সূত্রের খবর তাকেও সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করতে চাই সিআইডি। সিআইডি বলছে ড্রাইভার নাজিব সিআইডিকে দেয়া নিজের জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন নিউমার্কেটের প্লাজা হোটেল থেকে এমপি আনারকে বরানগরের বাড়ি থেকে নিউটন অ্যাক্সিসমল পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য তার গাড়িটি বুক করেন মূলত ফয়সাল। এই প্লাজা হোটেলেই মে মাসের ২ তারিখ থেকে অবস্থান নিয়েছিল ফয়সাল এবং মোস্তাফিজুর। ফয়সাল ড্রাইভার নাজিবের পূর্ব পরিচিত না হলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করেন নাজিব। একইভাবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোপাল বিশ্বাস ও ফয়সালকে চিহ্নিত করেছেন।

নাজিব জানান, ১৩ তারিখ নিউমার্কেট থেকে ফয়সাল নাজিবের গাড়িতেই বরানগরে গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত যান। সেখান থেকে দুপুর একটা ৪০ নাগাদ এমপি আনারকে তোলার পর দুইটা ৪০ নাগাদ তাদের নামিয়ে দেন নিউটাউন অ্যাক্সিসমলের সামনে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ড্রাইভার সিদ্ধার্থ কুন্ডুর গাড়ি অ্যাক্সিস মলের পেছন গেট থেকে ফয়সাল এবং এমপি আনার কে তুলে নেয়। গাড়িতেই তাদের তুলতে এসেছিলেন আমানুল্লাহ। গাড়িটি সঞ্জীভা গার্ডেন থেকে বুকও করেছিলেন আমানুল্লাহ নিজেই। সিআইডির দাবি খুনের পরিকল্পনা নিখুঁতভাবে সাজাতে আমানুল্লাহ কলকাতায় এসেছিলেন এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে।

Advertisement

সিআইডির আরেক সাক্ষী বীরেন ভদ্র। যিনি মূলত বাড়ি ঘরের দালাল হিসেবে কাজ করেন নিউটাউন এলাকায়। খুব কম সময়ে আখতারুজ্জামান শাহিনকে সঞ্জীভা গার্ডেনের ডুপ্লেক্স বাংলোটি খুঁজে দেন বীরেন ভদ্রই। তাকেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার জেরা করেছে সিআইডি। জেরায় স্বীকার করেছে তিনিই আমানুল্লাহর জন্য সিদ্ধার্থর গাড়িটিও ভাড়া করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সঞ্জীভা গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী শেষবার ১৩ তারিখ দুপুর তিনটা ১০ নাগাদ এমপি আনার, ফয়সাল এবং আমানুল্লাহকে এই গাড়িতে করেই বিইউ ৫৬ টাওয়ারে ঢুকতে দেখা যায়।

পুলিশের দাবি জেরায় সিদ্ধার্থ আরো জানিয়েছেন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে নামিয়ে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকেল চারটে নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বেশ উত্তেজিত আতঙ্কিত অবস্থায় নেমে আসেন ফয়সাল। গাড়িতে উঠেই তাকে অ্যাক্সিসমলের সামনে নামিয়ে দিতে বলেন। সঞ্জীভা গার্ডেন থেকে অ্যাক্সিস মলের সামনে গিয়ে নেমে পড়েন ফয়সাল। এদিকে ফোন পেয়ে ফের ফাঁকা গাড়ি নিয়ে সিদ্ধার্থ আসেন সঞ্জিভা গার্ডেনে। পরে আমানুল্লাহকে নিয়ে আবারো যান অ্যাক্সিসমলের সামনে। এখানেই ফয়সাল এবং আমানুল্লাহ বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। এরপর আমানুল্লাহ সিদ্ধার্থের গাড়িতে সঞ্জীভা গার্ডেনে ফিরে এলেও ফয়সাল আর ফেরেননি।

পুলিশের সূত্র বলছে আমানুল্লাহ ফয়সাল একসঙ্গে অ্যাক্সিস মলের সামনে আসার পরে এই লোকেশন থেকেই ১৩ তারিখ বিকেল চারটে ১৫ মিনিটে এমপি আনারের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করা গেছে। তবে ফোনটি যে এমপি আনার নিজেই ব্যবহার করেছিল এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা ফ্লাটে নামিয়ে দেয়ার সময় এবং অ্যাক্সিসমলের সামনে পাওয়া ফোন লোকেশন টাইমের মধ্যেই খুন করা হয় এমপি আনারকে।

ট্যাক্সি ড্রাইভার সিদ্ধার্থর বয়ান সিআইডির জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় যখন সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার বয়ান হুবহু মিলে যায়। সিদ্ধার্থ জানায় এই ঘটনার পরের দিন ১৪ তারিখ জিহাদ ওরফে জুবের ওরফে কসাই জিহাদ একটি বড় ভারী নীল ট্রলি নিয়ে তার গাড়িতে উঠেন। এরপর জিহাদকে নামিয়ে দিতে হয় নিউটাউনের গুপ্তা টি স্টলের সামনে।  সিদ্ধার্থ জনায় এরপর ওই দিনের মত তার গাড়ি ছেড়ে দেয় জিহাদ। এরপর জিহাদ সেই ট্রলি নিয়ে কোথায় গিয়েছেন তা তিনি জানেন না।

সিদ্ধার্থর কথার সত্যতা মেলে জিহাদের ভারতীয় নম্বরের ফোন লোকেশন দেখেও। গোয়েন্দাদের ধারণা সম্ভবত সিদ্ধার্থর গাড়ি ছেড়ে দেয়ার পর আমানুল্লাহকে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার কথাটি জানিয়েছিলেন জিহাদ।

এদিকে এমপি আনার হত্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হলে সেদিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুনের দায় অস্বীকার করেন এমপি খুনের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন। এখানে সিদ্ধার্থর বয়ান আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় সিআইডির কাছে, যেখানে সিআইডি জানতে পারে খুন বা খুনের পরের দিন শুধু নয় খুনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সিদ্ধার্থর গাড়িকে ব্যবহার করছিলেন অভিযুক্তরা। যেখানে আখতারুজ্জামানের দেখানো পথেই খুনের ছয়দিন আগে চিনার পার্কের কাছে সৃজন হেরিটেজ ইনকিক্লাবের ব্লক 4এর ফ্ল্যাট নম্বর IC থেকে জিহাদকে নিজের গাড়িতে তোলেন।

পুলিশের তরফে পরিচয় না জানানো হলেও সিদ্ধার্থর বয়ানের সত্যতা মেলে পিন্টু দাস নামে ওই আবাসনের অপর এক কর্মকর্তার বয়ানের সঙ্গে।  সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু জানান আখতারুজ্জামান গত ছয় বছর আগে ওই ফ্ল্যাটটি নিয়েছেন। অন্য সময় ফাঁকা পড়ে থাকলেও বিগত এক থেকে দেড় মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটে থাকছিলেন জিহাদ। জিহাদের সঙ্গী হয়েছিলেন আরেক অভিযুক্ত সিয়ামও। ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেছে মিলেছে তাদের ছবি। সিআইডি কাছে পিন্টু দাস এই মামলায় তাদের অন্যতম সাক্ষী।

সিদ্ধার্থর বয়ান অনুযায়ী জিহাদকে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে আখতারুজ্জামান সোজা চলে যান বিমানবন্দরের কাছে ওটু রেস্টুরেন্ট এন্ড বারে। এখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি রহমান ও অন্যনরা। সিআইডির দাবি এই ওটু রেস্টুরেন্ট এন্ড বারেই ডিনার টেবিলে অনারকে খুনের ফাইনাল ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল আখতারুজ্জামান। সিদ্ধার্থর দাবি ডিনার শেষে আখতারুজ্জামান, সিয়াম, জিহাদকে সঞ্জীবা গার্ডেনের আবাসনে নামিয়ে দেন তিনি। এরপর ১৪ তারিখের আগে আর কখনোই জিহাদ তার গাড়িতে ওঠেননি।

এদিকে মামলা শুরু থেকে শিলাস্তি রহমান প্রসঙ্গে পুলিশ এবং ডিবির ধারণা ছিল তিনি খুন সম্পর্কে জানতেন না। খুন হওয়ার আগে বা পরে ফ্ল্যাটের উপস্থিত ছিলেন মাত্র।  কিন্তু আদালতে দাখিল করা পুলিশি তথ্য অনুযায়ী শিলাস্তি শুধুমাত্র আখতারুজ্জামানের সঙ্গে খুনের পরিকল্পনার অংশই ছিলেন না, লাশের টুকরো ফ্ল্যাটের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও অন্যতম ভূমিকা ছিল শিলাস্তি এবং আমানুল্লাহর। সঞ্জীভা গার্ডেনের কেয়ারটেকারের বক্তব্য অনুযায়ী ১৪ তারিখ সকাল দশটার দিকে ওলা ক্যাবের গাড়িতে দুটি ভারী টলি ব্যাগ নিয়ে আবাসন ছাড়েন শিলাস্তি এবং আমানুল্লাহ। যদিও ভারতীয় ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী শিলাস্তি এবং আমানুল্লাহ ভারত ছাড়েন এর ঠিক পরের দিন ১৫ মে।

এদিকে ১৮ তারিখ বরানগর থানায় এনারের নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার পর সময় নষ্ট করেনি মামলার অপর দুই মুখ্য আসামী ফয়সাল এবং মোস্তাফিজুর। তারা ভারত ছাড়েন লাশ গায়েব এবং তথ্য প্রমাণ সম্পূর্ণ লোপাট করার পর ১৯ মে। মামলার মুখ্য আসামি আখতারুজ্জামানও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি এবং একই দিনে দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু, পরে কাঠমান্ডু থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরেন। তবে পাসপোর্ট না থাকায় পালাতে পারেননি জিহাদ ওরফে জুবের। তার মোবাইল নম্বরটির লোকেশন ট্র্যাক করে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বনগাঁর গোপালনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২২ তারিখ নিউটাউন থানা স্বতপ্রণোদিত খুনের মামলা দায়ের করলেও সেদিনই মামলার দায়িত্বভার নেয় সিআইডি। পরে সাক্ষী হিসেবে গোপাল বিশ্বাস, সিদ্ধার্থ কুণ্ডু, পিন্টু দাস, নাজিব খান, বীরেন ভদ্র এবং আসামি জিহাদের বয়ান সিআরপিসির ১৬১ ধারায় গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করে সিআইডি। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল সঞ্জিভা গার্ডেনের থেকে পাওয়া ব্লাড, চুল, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও মাংসের টুকরো সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে তারা।

সব মিলিয়ে ফ্ল্যাটের সুয়ারেজ চ্যানেল ভেঙে এবং সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া চার কেজি মাংস পাঁচটি আলাদা আলাদা জারে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে ৬৫ গ্রাম পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। সিআইডি জানিয়েছে ইতোমধ্যে জিহাদকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেছেন তারা। এরমধ্যে ঘটনার পুনঃনির্মাণ, এবং স্বল্প পরিমাণে দেহাবশেষ (ফরেনসিক পরীক্ষার  রিপোর্ট আসেনি) উদ্ধার করা গেলেও সিআইডি ভিকটিম আনোয়ারের দেহের বাকি অংশ, জামাকাপড় চশমা ঘড়ি এবং খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি সিআইডি।

Advertisement

যদিও সিআইডির আরো দাবি এমপি হত্যা মামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মামলাটি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিযুক্ত সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।  তবে সিআইডি দাবি করেছে আনুমানিক ভিকটিম আনারের মাংসের টুকরো ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসাবে এখনো পর্যন্ত তারা একটি প্লাস্টিকের দড়ি, ব্ল্যাক টেপ, কিছু চুলের নমুনা পেয়েছে। এছাড়াও একটি সিম কার্ড, শিলাস্তি রহমানের নামে ইস্যু করা ৩০ শে এপ্রিলের ঢাকা থেকে কলকাতার নভোএয়ার এর একটি বোর্ডিং পাস। মেইন ফ্লোরের বাথরুমে থাকা কালো এবং হলুদ রংয়ের তোয়ালে। ৭৫০ মিলিলিটারের ব্লেন্ডার্স পাইডের ৪টি মদের বোতল এবং দুটি খালি মদের বোতল সংগ্রহ করেছে।