ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ

SHARE

eidgahঢাকা: দেশের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট সংলগ্ন দুই লাখ ৭০ হাজার বর্গফুটের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এখানে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতি বছরের মতো এবারও মুসল্লিদের জন্য ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে।

জাতীয় ঈদাগাহ’র কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

শনিবার (১৮ জুন) সরেজমিনে ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে প্যান্ডেল তৈরির জন্য কেউ বাঁশ কাটছেন, আবার কেউ খুঁটি গাড়ছেন। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (১৭ জুন) থেকে স্বল্পপরিসরে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ারু অ্যান্ড সন্স। তবে সোমবার থেকে ঈদগাহ প্রস্তুতের কর্মযজ্ঞ পুরোদমে শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি) মিনারের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে ব্যস্ত। মিনারের উপরে পুরানো পলেস্তার উঠিয়ে চুনকাম করছে। অনেক শ্রমিক মাঠের সবুজ ঘাস কেটে নামাজ পড়ার জন্য সারি তৈরি করছেন।

সোমবার থেকে দিন-রাতে প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করবেন, চলবে ২৭ নমজান পর্যন্ত। ২৭ রমজানের মধ্যেই মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর প্রতিজন শ্রমিক দিনপ্রতি মজুরি পাচ্ছেন ৬০০ টাকা।

প্রায় ৪৫ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হবে সামিয়ানা তৈরি করতে। যেহেতু বর্ষাকাল তাই বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ত্রিপলে ঢেকে দেওয়া হবে ঈদগাহ ময়দানের দুই লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট এলাকা। একই পরিমাণ এলাকায় নামাজের চাদর বিছানো যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ারু অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ প্রস্তুতে কাজ শুরু হয়ে গেছে। প্রায় ২০০শ শ্রমিক দিনে-রাতে টানা কাজ করে ২৭ রমজানের মধ্যেই মাঠের কাজ শেষ করবে। ১ লাখ ২০ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে আবহাওয়া যদি ভালো হয় তবে আরও বেশি মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বরাবরের মতো এবারও ৭ থেকে ৮ হাজার নারীর জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হবে।

এবার পুরো ময়দান জুড়ে থাকবে ৭০০ সিলিং ফ্যান এবং ১০০টি স্ট্যান্ড ফ্যান এবং ময়দান আলোকিত রাখতে ৪৬০টি লাইট ও ৫৪টি মেটাল লাইট থাকবে। এছাড়া পুলিশ ও র‌্যাবের দু’টি আলাদা নিয়ন্ত্রণকক্ষ তৈরি করা হবে। ঈদগাহ ময়দানে থাকবে তিনটি ফটক। মূল ফটকের পাশেই বসানো  হবে ১২০টি ওজুখানা। নারীর জন্যও ‍ওজু করার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ভিআইপিদের জন্য থাকবে টয়লেটের ব্যবস্থা। প্যান্ডেল, ত্রিপল, বৈদ্যুতিক পাখা বসানোসহ আনুষাঙ্গিক কাজ সপ্তাহ খানেক পরে শুরু হবে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মকর্তা।

জানা যায়, দরপত্রে ৫৮ লাখের কিছু বেশি টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ারু অ্যান্ড সন্স কাজটি পেয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ঈদগাহ ময়দানে কাজ তাদের প্রতিষ্ঠানই করছে। তবে এবার মোট ব্যয় হবে ৭৪ লাখ টাকা। বছরের ব্যবধানে খরচ বাড়লে ১৭ লাখ টাকা।

ডিএসসিসির প্রকৌশলী (অঞ্চল-১) আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, গত ঈদে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত করতে ৫৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। এবার খরচ ধরা হয়েছে ৭৪ লাখ টাকা। এবার মূল ফটকের নকশা পরিবর্তনসহ নির্মাণ সামগ্রীর খরচাও বাড়তি।