ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিনিধি , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ কল করে নিজেকে বিচারপতি পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রটোকল চাওয়া মো. আরিফ হোসেন বিপ্লবকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার তাকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হয়রানি ও প্রতারণার মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
Advertisement
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা দিঘলদী গ্রামের মৃত মাহবুব প্রধানের ছেলে মো. আরিফ হোসেন বিপ্লব ঢাকা থেকে নিজের গাড়িতে আসার পথে সড়কে জ্যামে পড়েন। এসময় তিনি এই জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে পুলিশি সহায়তার জন্য সরকারি জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ কল করেন। তখন সেখান থেকে বিষয়টি যাচাই না ছাড়াই কুমিল্লা পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে জানালে তারা চাঁদপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে জানান। এতে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিপ্লব প্রামাণিক নামে একজন বিচারপতি কুমিল্লা সীমান্ত হয়ে চাঁদপুরে যাবেন। তার দুজন গানম্যানসহ প্রটোকল প্রয়োজন। বিষয়টি চাঁদপুর কন্ট্রোলের মাধ্যমে জেনে চাঁদপুরের ডিআইও-১ মো. মনিরুল ইসলাম ওই ভুয়া বিচারপতির মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রটোকলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন। সেই সাথে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান।
Advertisement
এ সময় পুলিশ সুপারের বিষয়টি সন্দেহ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়কে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন। এ সময় মতলব দক্ষিণ থানার এসআই মো. রুহুল আমিন বারঠিলা এলাকায় ওই ভুয়া বিচারপতি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির গাড়িটি এসে থামলে তখন তাতে কোনো ধরণের পতাকা ও বডিগার্ড না থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন তাকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদের নির্দেশে তাকে আটক করে মতলব দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসেন।
Advertisement
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এর আগেও ওই ভুয়া বিচারপতির বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় দুইটি মামলায় সাজা ওয়ারেন্টসহ একটি সিআর ওয়ারেন্ট পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা তিনি তার নিজ এলাকায় কোনো ধরনের সুবিধা নেয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতারণার কৌশল করেন। নতুন করে এই ধরনের প্রতারণা ও পুলিশি হয়রানির কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণার মামলা করি। বর্তমানে তিনি আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে আছেন।
Advertisement