ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),নির্বাচন কমিশন প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা, এনআইডি সার্ভারের দায়িত্বে থাকা ডাটা অপারেটর দিতেন ওটিপি নম্বর। আর সেই নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ জাল করে আসছিলো একটি চক্র।
Advertisement
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
এই চক্রের দু’জনকে আটক করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসি। নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তাও জালিয়াতিতে জড়িত বলে জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, রীতিমতো ফেসবুকে পেইজ খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছিলো জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও করোনা সনদ বিক্রির বাণিজ্য। ১ থেকে ১০ হাজার টাকায় কেবল জাল সনদ দেয়াই নয়, সেসব সনদ সরকারি ওয়েবসাইটে যুক্ত করে আসল সনদে পরিণত করতো চক্রটি।
Advertisement
জাল সনদ সরকারি ওয়েবসাইটে যুক্ত করার কাজ করতো নির্বাচন কমিশনের ডাটা অপারেটর জামাল। সিটিসিসি জানায়, লিটন নামের একজন কমিশনের সার্ভারে ঢুকতে যে ওটিপি দরকার হতো তা জামালের মাধ্যমে পেতো। বিনিময়ে ওটিপি প্রতি জামালকে দিতে হতো ৩ হাজার টাকা।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, ওটিপি বিক্রি করতে করতে জামালের সাথে লিটনের ঘনিষ্টতা বাড়ে। একপর্যায়ে এসে, জামাল তার ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড লিটনকে দিয়ে দেয়।
Advertisement
করোনা সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনও তৈরি করতো সে। সরকারি ওয়েবসাইটের সাথে মিল রেখে নিজেস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে থেকে আপ করা হতো অনলাইন কপি।
Advertisement
এই অপরাধে নির্বাচন কমিশন ও জন্ম নিবন্ধন অফিসের বেশ কজন কর্মকর্তার নাম পেয়েছে সিটটিসি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান কাউন্টার টেররিজমের প্রধান।