হিটস্ট্রোকে মৃত্যুঝুঁকি বেশি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ : নিজের সর্বোচ্চ শক্তিমত্তা জানান দিচ্ছে সূর্য। ফলে টানা ৩০ দিন ধরে দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান তাপপ্রবাহে কয়েক মিনিটি পথে দাঁড়িয়ে থাকাই যখন কঠিন তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

Advertisement

দেশে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না বের হওয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। কিন্তু সেটি মানার সুযোগ নেই ট্রাফিক পুলিশের। সড়কের শৃঙ্খলার গুরুত্ব দায়িত্ব যে তাদের কাঁধে। নির্দিষ্ট মোটা কাপড়ের আঁটসাঁট পোশাকে তপ্ত রোদে অবিচল এই কর্মীরা। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে আক্রান্ত হন নানা জটিল রোগে।

Advertisement

রাজধানীর বিজয় সরণীর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, তীব্র গরমে রাস্তার পিচ গরম হয়ে গেলে খুব কষ্ট হয়। শরীরে অনেক সময় অ্যালার্জি হয়, বাসায় গেলে চোখ জ্বলে। কানে শুনতে সমস্যা হয়। তারপরেও কিছু করার নেই, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্যে আমাদের রাস্তায় থাকতেই হয়।

হাজারো অভিযোগের আঙুল ট্রাফিক পুলিশের দিকে উঠলেও তাদের এমন কষ্টকর কাজের দিকে চোখ পড়ে না অনেকের। তবে তারা নির্বিকার। জানান, জনগণের সেবা করতে হয়। তাই জায়গা ছেড়ে যাবার সুযোগ থাকে না। এক মিনিট না থাকলেই অনেক দূর পর্যন্ত যানজট শুরু হয়ে যায়। ফলে যত রোদ হোক, ঝড় হোক আমাদের রাস্তায় থাকতেই হয়।

Advertisement

চিকিৎসকের মতে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকের সবচেয়ে ঝুঁকিতে ট্রাফিক সদস্যরা। এ জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শও দেন তারা। ডা. শেখ মইনুল খোকন বলেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীর উপরে হলে মাসল ব্রেকডাউন হতে পারে। এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হয়, শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যায়। এর ফলে হার্টবিট অ্যাবনর্মাল হয়ে যেতে পারে, যে কারণে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশি। পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসা নেয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

গরমে একটু স্বস্তি দেয়ার জন্যে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ছাতা, স্যালাইনসহ বিভিন্ন উপকরণের ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনার কথাও ভাবছেন তারা বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি।

Advertisement

এদিকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনার যে ভাবনা সেটি কার্যকর চান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।