এতিমখানার অনুদান থেকে ঘুষ দাবি করা সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),চকরিয়া প্রতিনিধি,   মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ : এতিমখানার নামে বরাদ্দকৃত টাকা ছাড় পেতে ঘুষ দাবি করা চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতিমখানার নামে বরাদ্দ পেতে ঘুষ দাবি এবং কর্মকর্তার পক্ষে অফিস সহকারির গুণে গুণে ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও ফাঁস হয়। ওই ঘটনায় ২৮ এপ্রিল চ্যানেল 24 এর অনলাইনে ‘কর্মকর্তার ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেন অফিস সহকারী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে ঘুষ চাওয়া এবং ঘুষের টানা গুনে নেয়ার ভিডিও প্রচার করা হয়।

Advertisement

এরপর মামতাজ বেগম এবং আমজাদ হোসনের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরে এলে শৃংখলা রক্ষায় অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ২৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকেই বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার অনুদানের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলনের পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়া হয়। যার ভিডিও চিত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচারের পর ভাইরাল হয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা বই নিতে গেলেও প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম।

Advertisement

এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে এতিমখানা তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় না সেখানে সাধারণ মানুষ কি পরিমাণ ভূক্তভোগী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন পর হলেও দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় আমি খুশি। এখান থেকে অনেকে শিক্ষা নিতে পারেন।

Advertisement

বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেনকে ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলে তারও উত্তর মেলেনি।