জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০১৫-১৬ সালের অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে।
সম্পূরক বাজেটের ওপর মোট ৩১টি দাবি সংসদে উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বরাদ্দ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছাঁটাই প্রস্তাব আলোচনা হয়। বিরোধী দলীয় সদস্যদের দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সম্পূরক বাজেটের আওতায় ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিপরীতে ১৯ হাজার ৮০৩ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। সবচেয়ে কম ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা বরাদ্দ অনুমোদন পেয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বছর শেষ হওয়ার আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে দেওয়া বরাদ্দ কাটছাঁট করার ফলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার সম্পূরক বাজেটে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।
এ অর্থ বছরের মূল বাজেটটি ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার। সংশোধিত বাজেটে এটির আকার কমেছে ৩০ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা।
সংশোধিত বাজেটের আকার কমে আসার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে। আর ২৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ কমেছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বলেছেন, মন্ত্রণালয়গুলো কেন অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করেছে, সেসব ব্যয়ের স্বচ্ছতার বিষয়ে সংসদে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। কারণ বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় জনগণের প্রতিশ্রুতি পূরণে অনেক দাবি সম্বলিত আবেদন করেও কোনো বরাদ্দ পাননি।