ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডিও),গাজীপুর সাভার প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪, ২৮ চৈত্র ১৪৩০ : যাত্রীদের মারধরে নয়, অন্য একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন ইতিহাস পরিবহনে চালক ও হেলপার। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশের তদন্তে এমনটি বের হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আব্দুল্লাহিল কাফি।
Advertisement
তিনি জানান, ইতিহাস পরিবহনের চালক ও হেলপার নিহতের ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। সংগ্রহ করে ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজ। সেই সঙ্গে কয়েকজন প্রত্যক্ষদশী বক্তব্য রেকর্ড করেন।
সব পর্যালোচনা করে দেখেন অপর একটি বাসের ধাক্কায় আহত হন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপেজি মেমোরিয়াল হসপিটালে ভর্তি করেন। সেখানে মৃত্যু হয় তাদের।
Advertisement
পুলিশ জানায়, মূলত হেলপার আব্দুর রহমান ইতিহাস পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন। নিহতের একজন ছিলেন গাড়ির দরজা সোজা সড়কে। অপরজন ছিলেন গাড়ির দরজায়। আব্দুর রহমান দুই অপর বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বাস বামে চাপায়। এ সময় সোহেল ও হৃদয় দুই বাসের মাঝে পড়ে চাপা খান। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর আব্দুর রহমান বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
পরে পলাতক হেলপার আব্দুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে আনলে স্পষ্ট হয় ঘটনাটি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান স্বীকার করেন। অন্য একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হন তারা। গতকাল সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসারের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছিল তা ভয়ে প্রদান করেন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আব্দুল্লাহিল কাফি আরও বলেন, আব্দুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী ১০-১২ কিংবা ১৫ জন ব্যক্তি মিলে বাস থেকে নামিয়ে দুজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। কিন্তু প্রাথমিক সুরতহালে এমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্যের সঙ্গে আঘাতের চিহ্নের কোনো মিল নেই। তখনই সন্দেহ হয়। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত করে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো আসলে সেদিন কী ঘটেছিল। প্রাথমিকভাবে আব্দুর রহমান গতকাল যা বলেছে তার সঙ্গে আজকের বক্তব্যের কোনো মিল নাই।