সংবাদকর্মীদের ওপর হামলায় তিন থানার ঠেলাঠেলি, ঘটনাস্থল তুমি কার? (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডিও),ঢাকা প্রতিনিধি ,বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৭ চৈত্র ১৪৩০ : রাজধানীর কাওরান বাজার রেলক্রসিং এলাকা আসলে কার? বুধবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের দু’টি গাড়িতে হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনার পর এমন প্রশ্ন উঠেছে। ১২ ঘণ্টা পরেও জড়িতদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। রাতেই তেজগাঁও, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ঘটনাস্থল কোনো থানার অধীনে পড়েছে সেই অযুহাতে মামলা নিতে চাননি কেউই। আশেপাশের লোকজন জানান, এখানে সঙ্গবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে।

Advertisement

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রেলক্রসিং ও এফডিসির সামনে গাঁজা থেকে ইয়াবা সবই বিক্রি হয় প্রকাশ্যে রাস্তায়। পাশাপাশি চলে ছিনতাইও। বুধবার রাত দুইটার দিকে রেল ক্রসিংয়ের সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা ৭১ টেলিভিশনের গাড়িও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। চালকের গলায় চাকু (খুর) ঠেকিয়ে নিয়ে যায় মানিব্যাগ ও পরিবারের জন্য কেনা ঈদের নতুন পোশাক।

একাত্তর টিভির গাড়ি চালক মাহবুব বলেন, হঠাৎ করে আমার মানিব্যাগ ধরে টান দেয়। আমি ছিনতাইকারীর হাত ধরলে সে আমার গলায় খুর ধরে বলে, ‘যা আছে দে’।

খবর পেয়ে রিপোর্টার ইশতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে গেলে ছিনতাইকারী ও মাদকব্যবসায়ীরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইট ও রেল লাইনের পাথর নিক্ষেপ করে। এসময় ইটের আঘাতে আহত হন একাত্তর টিভির গাড়ি চালক বালাম। ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলমকে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

Advertisement

একাত্তর টিভির ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলম বলেন, খুর দিয়ে আমাকে মারার জন্য খুব চেষ্টা করেছে। আমাকে ঘুষিও মেরেছে।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তেজগাঁও, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ। তিন থানার পুলিশই ঘটনাস্থল নিজেদের থানার নয় বলে একে অন্যের উপর দায় চাপানোর প্রতিযোগিতায় নামে।

তিন থানার পুলিশ উপস্থিত হলেও হামলাকারীদের আটক করতে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর বলেন, পুলিশের সামনেই চলে প্রতিদিন মাদক বিক্রি।

Advertisement

তিন থানার ঠেলাঠেলিতে রাতে মামলা নেয়নি কোনো থানা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকায় এমন মাদক বাণিজ্য লজ্জাজনক ও হতাশার বলছেন এলাকাবাসী।