কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদ। তার পুরো পরিবারের এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায়, ৫ বছরেও হয়নি বিচার। এ কারণে চেম্বার আদালতে স্ত্রী, মেয়ে এবং নাতীকে নিয়ে আসেন মামলার খবর নিতে। পুরো পরিবারটির শতকোটি টাকার সম্পত্তি ৫ বছর আগে জালিয়াতি করে দখল করে একটি চক্র। সেই মামলা আর এগোয়নি। উল্টো জামিনে বেরিয়ে গেছেন সব আসামি, আর তাই বিচার চাইতে শেষ বয়সেও ঘুরছেন আদালতের বারান্দায়।
এম এম এ ওয়াদুদ জানান, জাল এনআইডি গুলো নির্বাচন কমিশন বন্ধ করে দেয়ার পরেও এগুলো দিয়ে জালিয়াতি করে জমির দলিল করছে তারা। সিআইডি এ বিষয়ে তদন্ত করছে তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন চার্জশিট দেয়নি।
তার স্ত্রী বলেন, আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি, কেন এভাবে অন্য লোকেরা দখল করে নিবে। স্বাধীন বাংলাদেশে তো এটা হওয়া উচিত না।
২০১৭ সাল থেকে জালিয়াত চক্রটি তাদের পিছনে আছে। তারা প্রথমে জাল দলিল করে, পরে এম এম এ ওয়াদুদসহ তার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে এনআইডি জাল করে। এগুলো কাজে লাগিয়ে সমস্ত সম্পত্তির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নেয়। এর বিরুদ্ধে মামলা করা হলে সিআইডি ওই দলিল জব্দ করে। কিন্তু তারা আবার নকল দলিল তৈরি করে জটিলতা বাড়িয়ে তোলে। ৫ বছর হয়ে গেলেও এইসব জটিলতা কমছে না বরং বেড়েই চলছে।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, পরিবারটি কোনোভাবেই এনআইডি জালিয়াতি চক্র থেকে বের হতে পারছেনা। সিআইডি চার্জশিট দাখিল না করায় আদালতও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
এদিকে ৫ বছরেও এ মামলার চার্জশিট না হওয়ায় নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথাও জানালেন ভুক্তভোগীরা।