ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ,সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩০ : প্রায় সাত বছর আগে হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গার ওপর ‘গণহত্যা’ চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই হত্যাযজ্ঞকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ। এখন আবার সেই রোহিঙ্গাদের কাছেই সাহায্য চায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। খবর বিবিসির
Advertisement
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিবিসি। এ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিবিসি জানতে পেরেছে, যুদ্ধরত জান্তার পক্ষে লড়াইয়ের জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় অন্তত ১০০ জন রোহিঙ্গাকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাদলে নিযুক্ত করা হয়েছে।
যেসব রোহিঙ্গা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম বদল করে এ প্রতিবেদনে ব্যবহার করেছে বিবিসি। ৩১ বছর বয়সী রোহিঙ্গা মোহাম্মদ। সেনাদলে নাম লেখানো প্রসঙ্গে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ভীত ছিলাম। কিন্তু আমাকে যোগ দিতে হয়েছিল।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের কথা। একদিন গভীর রাতে মোহাম্মদের কাছে আসেন শিবিরনেতা। তিনি মোহাম্মদকে বলেন, তাকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
Advertisement
সেই রাতের কথা স্মরণ করে মোহাম্মদ বলেন, তাকে বলা হয়েছিল, এটা সেনাবাহিনীর আদেশ। আদেশ পালন না করলে তার পরিবারের ক্ষতি করবে সেনাবাহিনী।
বিবিসি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা নিশ্চিত করেছেন, সেনা কর্মকর্তারা শিবিরগুলোর আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন। তারা তরুণ রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছেন।
হুসেন নামের আরেক রোহিঙ্গার ভাই মাহমুদ বলেন, তাকে (হুসেন) গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিবির থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সামরিক প্রশিক্ষণও নিতে বাধ্য হন। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর আগেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
Advertisement
সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে বাধ্য করা আরেক দল রোহিঙ্গার একটি ভিডিও দেখেছে বিবিসি। ভিডিওতে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের বিএ-৬৩ রাইফেল চালানো শেখানো হচ্ছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস নিধন অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের মুখে সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সে সময় মিয়ানমারে হাজারো রোহিঙ্গা হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হন। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।