কুমিল্লায় দুর্ঘটনা: রেললাইনের বেয়ারিং প্লেট কেন খুলেছিল ৪ ছাত্র? (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুমিল্লা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪  : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢুলিয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় রেললাইনের চারটি বেয়ারিং প্লেটের তিনটিই খুলে নিয়েছিল আটক চার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। এতে রেললাইন কিছুটা বেঁকে বিজয় এক্সপ্রেসের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেলওয়ে পুলিশ এবং তদন্ত কমিটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই তথ্য উঠে আসে। কারও প্ররোচনায় তারা এমনটা করেছিল কি না এখন তার অনুসন্ধান চলছে।

Advertisement

প্রথম পর্যায়ে অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে দাবি করেছিলেন রেলওয়ে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জিআরপি পুলিশও। কিন্তু ঘটনার তিন দিনের মাথায় চার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটকের পর রেলদুর্ঘটনার নতুন মোড় নেয়।

অভিযোগ উঠেছে, নাঙ্গলকোট হাসানপুর স্টেশনের তেজের বাজার শিহর এলাকার রেল কালভার্টের স্লিপারের সঙ্গে সংযুক্ত চারটি বেয়ারিং প্লেটের তিনটিই খুলে নিয়েছিল তারা। পরবর্তীতে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে স্কুলব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সবাই। তার কিছুক্ষণ পরই বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুল ব্যাগে থাকা একটি জন্মনিবন্ধন সনদের ক্লু থেকে পুলিশ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার তেলীগ্রাম থেকে ওই চার কিশোরকে আটক করে। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আবার চারজনের বাবাই মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চারজন জানায়, মূলত ঈদের সময় আতশবাজি কিনতে তাদের টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা যোগাড় করতে খুলে নিয়েছিল রেল যাত্রাপথের বেয়ারিং প্লেট।
 
রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটি তদন্ত করছে জি আর পি। এছাড়া রেলওয়ের ৫ সদস্যের একটি কমিটি’ও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
 
পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডক্সফাইকের মাধ্যমে বেয়ারিং প্লেটের সঙ্গে লাইন আটকে রাখা হয়। যদি বেয়ারিং না থাকে তাহলে গেজটা বড় হয়ে যেতে পারে।’ 
জিআরপি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের রেলওয়ে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আটকের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। রেল দুর্ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আসল তথ্য জানা যাবে।’

Advertisement

 
১৭ মার্চ দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর তেজের বাজারে এলাকায় লাইনচ্যুত হয় জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। দুর্ঘটনার ১৫ ঘণ্টা চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। একটি লাইন মেরামতের পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখনও বগিগুলো উদ্ধার কাজ চলছে। ফলে তিন দিন ধরেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় চলছে।